Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ফের নিশানায় দুষ্কৃতীদের। এর আগেই বহুবার হামলা হয়েছে এই ট্রেনটির ওপর। কেন বারবার দুষ্কৃতীদের নিশানায় পড়ছে বন্দে ভারত? সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে টার্গেট করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ টাটানগর-বহরমপুর বন্দে ভারত ট্রেনে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাথর ছোড়া হয় ট্রেনে। ওড়িশার কেন্দ্রাপোসি স্টেশনের কাছে ট্রেনটিকে উদ্দেশ্য করে হামলা করা হয়। বন্দে ভারত ট্রেনের সি৩ কোচের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা সেকেন্ড ক্লাস কামরায় বসেছিলেন।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ অক্টোবর। টাটানগর-বহরমপুর বন্দে ভারত ট্রেনের খুরদা ডিভিশনে পাথর ছোড়া হয়। এমনকি এই ঘটনা আগেও ঘটেছে ৩ অক্টোবর টাটানগর-পাটনা বন্দে ভারত ট্রেনে (Vande Bharat Express) কোডারমার কাছে। এখানেও দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়েছে সি-২ ও সি-৫ কামরাতে যার ফলে কাচ ভেঙে যায়। গয়ার কাছে পাটনা-টাটা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়। দুষ্কৃতীরা এর আগে বারবার টার্গেট করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকেই। যেমন রাঁচি-হাওড়া বন্দে ইন্ডিয়া এবং রৌরকেল্লা-পুরী বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেনেও একসময় টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছে যে, শুধু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নয় রাজধানী, জনশতাব্দী, দক্ষিণ বিহার, গীতাঞ্জলি, আমেদাবাদ-সহ টাটানগর দিয়ে যাওয়া বহু ট্রেনের ওপর পাথর ছোড়া হয়েছে। তবে সবথেকে ভালো বিষয় হলো, বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেনের কোচের কাঁচ উচ্চ শ্রেণীর হওয়ার কারণে, পাথর ছোড়া সত্ত্বেও যাত্রীদের কোনোরকম ক্ষতি হয়নি।
পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, টাটানগর-বহরমপুর বন্দে ভারত ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা নিতান্তই কম। পাশাপাশি আবার রাঁচি-হাওড়া, টাটানগর-পাটনা ও রৌরকেল্লা-হাওড়া বন্দে ভারত ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত টাটানগর থেকে দু’টি ক্যাটাগরিতে একাধিকবার অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ থেকে টাটানগর-বহরমপুর বন্দে ভারত ট্রেনটি (Vande Bharat Express) চালানো হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে জোন চাইবাসা দিয়ে।
আরো পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে, ওডিশা সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ ভক্তদের জন্য
ভারতীয় রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, টাটানগর থেকে হিজলি হয়ে ভুবনেশ্বর-পুরী পর্যন্ত বন্দে ইন্ডিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ সকাল ১১টায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত কটক, বালেশ্বর ও ভুবনেশ্বরগামী আর কোন ট্রেনের সুবিধা নেই। আইআরসিটিসি এবং রেলের বুকিং অনুযায়ী, টাটানগর থেকে প্রতিদিন বহরমপুর বন্দে ভারত ট্রেনের আসন সেভাবে পূর্ণ হচ্ছে না। চাইবাসার পর রেলওয়ে অনেক স্টেশনে বন্দে ভারত থামিয়ে দিলেও খুরদা রোড পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন যাত্রী পাওয়া যায়।
কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় টাটানগর-বেরহামপুর বন্দে ভারত ট্রেনের (Vande Bharat Express) ৫৯০ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করা আট কোচের ট্রেনের আসন একেবারেই ভর্তি হচ্ছে না। আবার ওড়িশা রুটের পুরুষোত্তম, নীলাচল, উৎকল, রাজধানী এবং সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসের যাত্রী চাপ এতটাই বেশি যে কনফার্ম টিকিট পাওয়া একেবারে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। হিজলি-বালেশ্বর হয়ে যদি ঠিক একই সময়ে টাটানগর-বেরহামপুর বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে হয়তো রাঁচি, পাটনা ও রৌরকেল্লার মতো ভিড় বাড়বে।