নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেড়শ কোটির দেশে প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। যে কারণে রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়ে থাকে। এই রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নানান পরিবর্তন আসার পাশাপাশি ভারতে এসেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী দিনে আসতে চলেছে বুলেট ট্রেন।
কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই সকল ট্রেন এনে রেল পরিষেবায় আরও গতি আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় রেল। বুলেট ট্রেন এমনিতেই গতিসম্পন্ন ট্রেন, তবে তার আগেই ভারতে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে এর সঙ্গে ফারাক কোথায়? কোন ট্রেনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি? এই সকল একাধিক প্রশ্ন সাধারণ মানুষ থেকে যাত্রীদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সিউড়ি শিয়ালদহ সহ একাধিক ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় জানিয়েছেন, বুলেট ট্রেন ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সময় নেই ৫৫ সেকেন্ড। অন্যদিকে ভারতের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সময় নেয় ৫৪ সেকেন্ড। হিসাব অনুযায়ী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন বুলেট ট্রেনের তুলনায় ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে ১ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে থাকে।
ভারতীয় প্রযুক্তির এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ ঘন্টায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন কোচ বা বগিগুলিকে টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় মোটর। যে কারণে কোচগুলিও ইঞ্জিনের মত ছুটতে থাকে। এই কারণেই এই ট্রেনের গতি অতিসত্বর বেড়ে যায়।
বর্তমানে যে সকল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে সেগুলি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম। অন্যদিকে এই ট্রেনের যে নতুন সংস্করণ আসছে তাতে ট্রেনগুলির গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি। এর পাশাপাশি আগামী দিনে ২০২৫ সালে যে সংস্করণ আনা হচ্ছে তার গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটার।
যদিও বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলিতে যে সকল বুলেট ট্রেন যাতায়াত করে তাদের গতিবেগ বেশি হলেও সেই সকল ট্রেনগুলিও ০ থেকে ১০০ কিমি গতি তুলতে যা সময় নেয় তার তুলনায় বন্ধ ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন সময় অনেক কম নেয় বলেই দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।