কামাল দেখাচ্ছে করোনা টিকার ২ ডোজ, বলছে সমীক্ষা

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার সংক্রমণ এবং সংক্রমিত হওয়ার পর প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে দাওয়াই হিসাবে ভ্যাকসিনের উপরই বারংবার জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এবার এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ভেলোরের সিএমসি হাসপাতাল। যে সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, কামাল দেখাচ্ছে করোনা টিকা। প্রথম ডোজ থেকেই কার্যকারিতা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজের ফলাফল সুদূর প্রসারী।

Advertisements

Advertisements

ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনার দুটি ডোজ নেওয়ার পর অনেকটাই সুরক্ষিত প্রথম সারির যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীরা। টিকা নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরে সামান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এই টিকার একটি ডোজ যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারে সংক্রমিত হওয়ার থেকে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমিত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে ৭৭%। তবে ভারতের তৈরি করা টিকা কোন চরিত্রের ভাইরাসের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী তা বলা হয়নি সমীক্ষায়।

Advertisements

সিএমসি ভেলোরের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জয় জে মাম্মেন জানিয়েছেন, “আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি করোনার টিকা কামাল দেখাচ্ছে। সংক্রমণ অনেকাংশে কমাতে সক্ষম হচ্ছে এই টিকা। পাশাপাশি সংক্রমণের চেন ভেঙে দিতে সক্ষম এই টিকাকরণ। সংক্রমণ ছড়ালেও তা রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে এই টিকার। তবে কোন টিকা অর্থাৎ কোভিশিল্ড না কোভ্যাক্সিন বেশি কার্যকর তা বলতে পারবো না। কারণ খুব কম সংখ্যক মানুষই কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন।”

তাদের এই সমীক্ষায় যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ থেকে এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৮৯৯১ জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিয়েছেন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ আক্রান্ত হলেও তাদের প্রাণহানি হয়নি। আবার ১৬০৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী, যারা টাকা নেননি তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

যে সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতিমধ্যেই দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমেছে ৬৫ শতাংশ। পাশাপাশি যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৭৭% রোগীকেই হাসপাতালে যেতে হয়নি। আবার যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের ৯২ শতাংশেরই কোনরকম অক্সিজেন সমস্যা হয়নি ৯৪ শতাংশের ICU প্রয়োজন হয়নি। দুটি ডোজ নেওয়ার পর যাদের ৪৭ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের কেউই আক্রান্ত হননি।

টিকার এক ডোজ নিয়েছেন এমনদের ক্ষেত্রেও আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমেছে ৬১ শতাংশ। আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীদের হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি ৭০ শতাংশের।

Advertisements