নিজস্ব প্রতিবেদন : মনুষ্যত্বের দিক থেকে মানুষ সবার থেকে এগিয়ে থাকলেও কথা যখন হয় বিশ্বাস ভালোবাসা ও প্রভুভক্তির তখন বন্যপ্রাণী ও পোষ্যরা মানুষের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে। এরকম অনেক সময় দেখা গিয়েছে প্রভুকে বাঁচাতে গিয়ে পোষ্য ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপাতে। প্রভুর জায়গায় সে ব্যক্তি যদি অপরিচিতও হয় তবু নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে অনায়াসেই ছুটে যায় তারা, এরকম দৃষ্টান্ত কিছু কম নয়। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের নেচার পার্কের কাছে একটি ঘটনায় আবার ও বন্যপ্রাণী ও পোষ্যদের বিশ্বাসযোগ্যতার দৃষ্টান্ত মিললো।
থাইল্যান্ডের নেচার পার্কের কাছে ডুবন্ত একটি মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দেয় ছোট্ট হাতি। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অসহায় ভাবে জলের তোড়ে যখন মানুষটি ভেসে যাচ্ছেন তখন তিনি সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে ছিলেন। আর তাকে ডুবতে দেখে তখন ছোট হাতি জলে নেমে যায়। জলের তীব্র গতিকে তুচ্ছ করে নিজের জীবনের পরোয়া না করে সে এগিয়ে যায় মানুষটিকে বাঁচাতে।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায় নিজে প্রায় অর্ধেক ডুবে গেলেও প্রাণপণ চেষ্টা করে নিজের শুঁড় দিয়ে হাতিটি আঁকড়ে ধরে মানুষটিকে। এক সময় দেখা যায় জলের বেগ বাড়লে শুঁড়ের সাথে সাথে নিজের পা ও পুরো শরীরটাকে বাড়িয়েই সে মানুষটিকে আঁকড়ে ধরে, যাতে জলের তোড়ে ভেসে না যায় মানুষটি। নিজের জীবন বিপন্ন করে অবশেষে সে সফল হয়। মানুষটি ঐ হাতির সাহায্যে পাড়ে গিয়ে পৌঁছায়।
উদ্ধারকারী এই হাতির নাম খাম লা। এলিফ্যান্ট নেচার পার্কেই এই হাতির দল থাকে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, খাম লার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডারিক ও তার বন্ধুকে ডুবতে দেখে এগিয়ে গিয়েছিল সাহায্য করতে।
Do we deserve these kind hearted animal friends? pic.twitter.com/JKDmwCD9Jf
— Ashish Chauhan (@ashishchauhan) January 17, 2021
সম্প্রতি এই ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন BSE র CEO আশিস চৌহান। যদিও এই ভিডিওটি সাম্প্রতিককালের নয়, তবু ও বন্যপ্রাণীর সহমর্মিতার এই ভিডিওতে ৫,৮৬০০০ এর বেশি মানুষ লাইক করেছেন ও ১৮,৩১২,৭২৬-র বেশি মানুষ এই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। নিজের জীবন বিপন্ন করে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে বন্যপ্রাণীরা যে কত সহজেই এগিয়ে যেতে পারে তাই এই ভিডিওতে উঠে এসেছে। হাতির এই আত্মত্যাগের বিষয়টিকে সকলেই প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে Elephants News নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম এই ভিডিওটি শেয়ার হয়েছিল। তারপর অনেকবারই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছে। সাম্প্রতিকালে আবারও এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।