লাল্টু : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) তার কাঁচা বাদাম (Kancha Badam) গানের জন্য রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। একসময় ভাঙ্গা বাড়িতে কাটানো ভুবন বাদ্যকর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সাধের একটি বাড়ি তৈরি করান। কিন্তু গ্রামে তৈরি করা সেই বাড়ি বেশিদিন ভোগ করতে পারেননি। কিছুদিনের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে দুবরাজপুর শহরে বসবাস শুরু করেন।
নিজের বাড়ি ছেড়ে দুবরাজপুর শহরে বসবাস করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। ইতিমধ্যে ভুবন বাদ্যকর গ্রামে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এখনো পর্যন্ত তার লাখের বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থাতেই রয়েছে। তার এইভাবে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তার সূলুক সন্ধান করতে আমরা পৌঁছে যায় গ্রামে।
গ্রামে গিয়ে জানতে পারা যায়, গ্রামের অনেকেই ভুবন বাদ্যকরের গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকার কারণ জানেন না। গ্রামবাসীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা জানতেন হয়তো আরও বড় বড় জায়গায় গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্যই ভুবন বাদ্যকর অর্থাৎ বাদাম কাকু দুবরাজপুরে থাকা শুরু করেছেন। তবে এর পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, চাঁদা এবং জোর করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তার সঙ্গে ঘটেছিল।
গ্রামের বাসিন্দা আখিরুল হোসেন খান জানিয়েছেন, পুজো অর্চনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং চিকিৎসার জন্য অনেকেই তার কাছে টাকা চাইতে আসতেন। একবার একজন তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা এই সেই মোবাইল ওই ব্যক্তির থেকে ফেরত এনে ভুবন কাকুকে দেয়। কিন্তু এসবের কারণেই যে তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন তা তাদের জানা ছিল না।
তবে গ্রামবাসীরা এখন ভুবন বাদ্যকরকে গ্রামে ফিরে পেতে চান। কারণ হিসাবে তারা জানিয়েছেন, ভুবন বাদ্যকর হলেন তাদের গ্রামের একজন গৌরবোজ্জ্বল মানুষ। যার জন্যই কুড়ালজুরি গ্রামের নাম বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভুবন বাদ্যকরের জন্যই বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষের আগমন ঘটেছে তাদের গ্রামে। ভুবন বাদ্যকর গ্রামে ফিরে এলে তারা খুশি হবেন বলেই জানিয়েছেন।