নিম্নমানের খাবারের অভিযোগে সদাইপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ, পড়লো তালা

নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার সকাল নটা নাগাদ সদাইপুর থানার নারায়ণপুরে ২নং শিশু বিকাশ (অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র) কেন্দ্রে খাবারের গুণগতমান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার প্রায় শ’খানেক মানুষ। পাশাপাশি তালা দিয়ে দেওয়া হয় ওই সেন্টারে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সবসময় ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে। খাবারের গুণগতমানও অত্যন্ত খারাপ। কেন্দ্রের শিক্ষিকা দিপালী মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের এমনই অভিযোগ যে, শিশুদের সাথে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন উনি। ফলে অধিকাংশ শিশুই ভয়ে সেন্টারে আসতে চায় না। কিছু বলতে গেলে শিশুর অভিভাবকের সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়।

সেন্টার থেকে কিছুটা দূরেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিপালী মজুমদারের বাড়ি। তাই এতদিন এলাকার বাসিন্দারা সব দেখে শুনেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। এরপর গতকাল অভিভাবকরা লক্ষ্য করেন যে পোকা ধরা চাল ও অত্যন্ত খারাপ সামগ্রী দিয়ে রান্না করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপারটি নিয়ে ভালভাবে বললেও গ্রামবাসীর কথায় কান দেননি অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিপালী মজুমদার।

এরপর আজ সকালে অভিভাবকরা গিয়ে লক্ষ্য করেন সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া মশলা লবণ সর্ষের তেল দিয়ে রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া প্রায় দেড় দুই বছর আগেকার চাল এবং গন্ধযুক্ত ও পোকা লাগা ডাল মশলা রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রান্নার পরিবেশও খুবই নোংরা।

বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা চেপে ধরেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। তবে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ওই সেন্টারের শিক্ষিকা। এমনকি সেন্টারের রান্নার কাজে থাকা কর্মীও শিক্ষিকা দিপালী মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বলেন , তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকা।

সকালে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ছুটে আসেন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলন বাগ্দী ও স্থানীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় নেতৃত্বর সামনে ওইসব সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া ঐসকল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে একটি ক্লাবঘরে মজুত রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকেও। তিনিও দ্রুত অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা শান্ত হন।