চন্দন কর্মকার : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিধায়িকা নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয়দের সামনে। বিক্ষোভ চলাকালীন স্থানীয়রা সরকারি নির্মাণের বিজ্ঞাপনের বোর্ড ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি এতটাই অবনতির দিকে যায় যে বিশাল পুলিশবাহিনী নামাতে হয় এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বিধানসভা এলাকার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের ভালদাহ গ্রামে। শুক্রবার এই গ্রামে সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়িকা নীলাবতী সাহা পথশ্রী সরকারি প্রকল্পের একটি রাস্তার উদ্বোধন করতে যান। প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। কিন্তু সেই গ্রামে পৌঁছাতেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিক্ষোভ এতটাই জোরালো হয় যে মঞ্চের পাশে থাকা আনন্দধারা প্রকল্পের সাইনবোর্ড ভেঙে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি মঞ্চ স্থলেও উত্তেজিত জনতা তাদের মা’রমুখী রূপ দেখা যায়। আর এই ঘটনার খবর পেয়ে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু কেন এলাকার বিধায়িকাকে ঘিরে এমন বিক্ষোভ?
সাঁইথিয়া বিধানসভার ওই এলাকায় সরকারি একটি জায়গায় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিল্ডিং তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি ওই জায়গাতে প্রাইমারি স্কুল করতে হবে। কেননা তাদের এলাকার ছোট ছোট পড়ুয়ারা দূরের স্কুলে যেতে চান না এবং একটি বাচ্চা হারিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাদের দাবি না মেনে পঞ্চায়েত নিজেদের সিদ্ধান্ত মতো এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিল্ডিং তৈরি করার কাজ করতে চাইছে। যে কারনেই এদিনের এই বিক্ষোভ।
ঘটনার পর আমরা সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়িকা নীলাবতী সাহার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।