বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এখন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও (Police Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। কখনো ঘুষ নেওয়া তো আবার কখনো অন্য কিছু। আর এসবের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের দিন থানা চত্বরে উর্দি পরে দুই পুরুষ ও দুই মহিলা কর্মীর জম্পেশ নাচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল।
নাচতে কোন মানা নেই, তবে নাচার স্থান কাল এসব ঠিক না থাকলে তা নিন্দার পাশাপাশি বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে চারজন পুলিশ কর্মীর কথা বলা হচ্ছে সেই চারজন পুলিশ কর্মীর এইভাবে নাচও বিতর্ক ও নিন্দার পাশাপাশি তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চার পুলিশ কর্মীর যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দুজন মহিলা পুলিশ কর্মী এবং দুজন পুরুষ পুলিশ করে হিন্দি গানে নাচতে মত্ত। চারজন পুলিশকর্মীর মধ্যে একজন পুরুষ পুলিশ কর্মী না হয় কেবল হাত নাড়িয়েই নাচের আনন্দ উপভোগ করেছেন। অন্যদিকে আরেকজন মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগ অল্পবিস্তার নেচে নিজেকে থামিয়ে নিয়েছেন। তবে বাকি দুজন মহিলা ও পুরুষ পুলিশকর্মীর নাচ থামতেই চায় না।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খাইকে পান বানারসওয়ালা হিন্দি গানে থানা চত্বরেই উর্দি পরে উদ্দাম নাচছেন তারা। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এমন হিন্দি গানের নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে নিন্দা, বিতর্ক তো বাড়বেই। আর সেই বিতর্ক বাড়তেই পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে ওই চারজন পুলিশকর্মীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের দিন হিন্দি গানে নেচে সাসপেন্ড হওয়ার এমন ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরের গান্ধীবাগ এলাকায়। যারা সাসপেন্ড হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই সঞ্জয় পাটাঙ্কর, হেড কনস্টেবল আব্দুল কাইউম গনি, ভাগ্যশ্রী গিরি এবং কনস্টেবল নির্মলা গাওলি। চারজনের মধ্যে দুজন মহিলা পুলিশ কর্মী বেশ ভালই কোমর দুলিয়ে নাচতে পারেন তা ভিডিওতে ভালোভাবেই স্পষ্ট। তবে তারা এইভাবে নেচে সাসপেন্ড হবেন তা হয়তো কোনদিন ভাবেন নি। তাদের তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এমন ঘটনার পর আশা করি পুলিশ কর্মীরা এই ধরনের কাজ করার আগে এবার দশবার ভাববেন।