Travel Destinations: দিনকাল এতটাই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছে যে হাতে দুই একটি দিন ছুটি পেলেই মনটা বড় উরু উরু করে ওঠে। তবে সব সময় লোটা কম্বল কাধে নিয়ে দীঘা,পুরি, দার্জিলিং বেরিয়ে যাওয়া যায় না। আচ্ছা আপনি কি এবারের ছুটিতে একটু অন্যরকম কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইছেন? তবে আপনার জন্যই এই প্রতিবেদনটি। এখানে এমন তিনটি ভ্রমণ স্থানের (Travel Destinations), কথা জানাবো যেখানে একবার গেলে মন চাইবে ফিরে আর একবার যেতে।
নিমপীঠ ও কৈখালি
সুন্দরবন তো অনেকেই গেছেন। তবে হাতে সময় কম কাছাকাছি হিসেবে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনের কৈখালী। কৈখালীর মাতলা নদী এবং চারপাশে সবুজে ঘেরা স্থানটি (Travel Destinations) আপনার ব্যস্ত জীবনে এক অনাবিল আনন্দ এনে দেবে। পূর্ণিমার রাতে চাঁদের রূপোলী আলো যখন মাতলা নদীর উপর এসে পড়ে তখন যেন এক রোমাঞ্চকর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। এছাড়া এই কৈখালী যাওয়ার পথেই পড়ে নিমপীঠে রামকৃষ্ণের আশ্রম। এই বিশাল আশ্রমে আপনারা ঘুরে এসে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন।
কি করে পৌঁছানো যায়?
আপনি সরাসরি শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে য়নগর নামতে পারেন। জয়নগর নেমে যে কোন অটো বা বাসে আপনাকে নিমপীঠ বা কৈখালী নিয়ে যাবে।
ভাটিন্ডা জলপ্রপাত, ধানবাদ
পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার মতো একটি ছোট স্থানে সমৃদ্ধ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। ভাটিন্ডার ইতিহাস বিভিন্ন ধর্মের সাথে জড়িত। এখানকার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো শুধু শিখ সংস্কৃতিরই নয়, হিন্দু ও মুসলমানদেরও স্মরণ করিয়ে দেয়। ভাটিন্ডার জঙ্গলে দশম গুরু শ্রীগোবিন্দ সিং জি মোগল বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। এই জায়গাটিতে মোগল সম্রাট আওরনাগজেবের সময়কার বেশ কয়েকটি গুরুদ্বার রয়েছে। ভাটিন্ডার বিখ্যাত স্থানগুলি (Travel Destinations) হল – কিলা মোবারক, বাহিয়া দুর্গ, লাখী জঙ্গল, বীর তালাব চিড়িয়াখানা, রোজ গার্ডেন, জুলজিক্যাল গার্ডেন, চেতক পার্ক, পীর হাজী রতনের মাজার, সিটি ওয়াক মল, ব্যাংক মার্কেট, ধোবি বাজার, মিত্তল মল, পেনিনসুলা মল, সেন্টার মল, থার্মাল লেক, অজিত রোড ইত্যাদি।
কি করে পৌঁছানো যায়?
আরও পড়ুন : Weather Update: কমবে গরম, টানা ৩ দিন তুফান মাচাবে বৃষ্টি একাধিক জেলা! জারি হল অরেঞ্জ অ্যালার্ট
ভাটিন্ডা ট্রেনের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহর ও রাজ্যের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত। নতুন দিল্লি থেকে বিভিন্ন ট্রেন রয়েছে যা অন্যান্য শহর এবং রাজ্যে যাওয়ার পথে ভাটিন্ডায় থামে।
দুয়ারসিনি, পুরুলিয়া
দুয়ারসিনি পুরুলিয়া জেলার একটি ছোট আদিবাসী গ্রাম। বান্দোয়ান শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে দুয়ারসিনির সাল, সেগুন, পিয়াল এবং পলাশ বন প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য আদর্শ। দৃষ্টিনন্দন ঘূর্ণায়মান পাহাড় এবং দলমা পাহাড়ের গভীর সবুজের ঘেরের কারণে এই গ্রামের আকর্ষণ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে রয়েছে। ডালমা বন বন্যপ্রাণী যেমন ভাল্লুক, নেকড়ে, শুয়োর এবং অনেক পরিচিত ও অজানা পাখি প্রজাতির আবাসস্থল।
কি করে পৌঁছানো যায়?
ট্রেনে করে আপনারা প্রথমে ঘাটশিলা যেতে পারেন ঘাটশিলা থেকে গালুডি স্টেশনে নামলেই খুব সহজেই দুয়ারসিনি পৌঁছানো যাবে।