Famous Hill Stations: শীত পড়ার আগেই ঘুরে আসুন এই হিল স্টেশনগুলো থেকে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Famous Hill Stations: বাংলার ঋতুচক্রে হেমন্তের পরেই কিন্তু আগমন ঘটে শীতের। এই সময়টা আবার পাহাড়ে ঘোরার জন্য একেবারে উপযুক্ত। শীতের কনকনে ঠাণ্ডায় ঘুরতে গেলে অনেকেই কষ্ট পান, তার থেকে নভেম্বর মাসটা হালকা শীত এবং গরম মিশিয়ে আদর্শ সময়। শীতের কষ্ট পেতে হবে না এবং আবহাওয়া থাকবে অতি মনোরম। নভেম্বর মাসে সাধারণত পিক সিজ়ন থাকে না তাই খরচ একেবারে সাধ্যের মধ্যেই হবে। কোন কোন পাহাড়ি জায়গাগুলো এই সময়ের জন্য আদর্শ আসন জেনে নিই এই প্রতিবেদনে।

Advertisements
মুসৌরি

উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় হিল স্টেশন (Famous Hill Stations)। মুসৌরিতে গরম কিংবা শীত যেকোনো সময়ই যাওয়া যায়। মোটামুটি সারা বছরই পর্যটকরা এখানে ভিড় জমান এবং যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁরা শীতকালে যেতেই পারেন। পাহাড়গুলো যেন এই সময় বিশেষরূপে সেজে ওঠে। ভিড় এড়াতে চাইলে নভেম্বর মাস একেবারে আদর্শ সময়ে। এখানকার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে নভেম্বর মাসে। হালকা শীতে শীতের দেশের মজা নিতে পারবেন। ঘুরে দেখুন নহাতা এস্টেট, গানহিল, কেম্পটি জলপ্রপাত মিস্ট (কুয়াশা) হ্রদ, মুসৌরি হ্রদ, ভট্ট জলপ্রপাত, ঝরিপানি জলপ্রপাত, নাগ দেবতার মন্দির, জ্বালাদেবী মন্দির (বেনোগ পর্বত), বেনোগ অভয়ারণ্য। অভয়ারণ্যতে রয়েছে হোয়াইট ক্যাপ্ড ওয়াটার রেডস্টার্ট, রেড বিল্ড ব্লু ম্যাগপাই, চিতা, হরিণ, ভাল্লুক এবং হিমালয়ান ছাগল।

Advertisements
কুর্গ

তালিকায় এরপরেই আছে কর্নাটকের কুর্গ শহর (Famous Hill Stations)। এখানের আবহাওয়া সারা বছরই প্রায় শীতল থাকে। এই পাহাড়ি শহরে দেখতে পাবেন একাধিক জলপ্রপাত, কফি এবং মশলার বাগান। এখানকার বিখ্যাত অ্যাবি জলপ্রপাতের চারপাশে সবুজ গাছপালা, বাহারি ফুল এবং ঝরনার বিপরীতের ঝুলন্ত ব্রিজের চেহারা অপূর্ব। শীতকালে এখানে ঠান্ডা বেশি পরে বলে নভেম্বর মাসটি ঘোরার জন্য আদর্শ। কুর্গের বিখ্যাত মাদিকেরি দুর্গ, ব্রহ্মগিরি পাহাড়, কাবেরী নদীর উৎসস্থল তালাকাবেরী, চা বাগানে ঘেরা পাহাড়ি উপত্যকা রাজা’স সিট, অভয়ারণ্য এবং বিভিন্ন মন্দির শান্তিমতে দেখতে পারবেন। তাপমাত্রা থাকবে ১৪ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisements

আরো পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেছে রেলস্টেশন, চলেনা একটাও ট্রেন, বাংলার কোথায় অবস্থিত এই স্টেশন

আউলি

যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের কাছে আউলি অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। ঋষিকেশ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কিইং প্লেস আউলি। শীতে এখানে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে যায় এমনকি গরমকালেও বেশ শীত থাকে এই অঞ্চলে। ওক গাছে ঘেরা এই স্থানের পাহাড়ের গায়ে জঙ্গলগুলি অনেকটা শঙ্কু আকৃতির। নভেম্বর মাস এই জায়গাটি ঘোরার জন্য একেবারে উপযুক্ত। আউলি থেকে মানা পর্বত, মাউন্ট নন্দাদেবী এবং নর পর্বতের ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। আউলিতে আছে মিষ্টি জলের একটি গভীর হ্রদ ছত্রকুণ্ড। এছাড়াও এই হিল স্টেশনে (Famous Hill Stations) পেয়ে যাবেন ট্রেকিং করার সেরা জায়গা কুমারী পাস। সেখান থেকে ঘুরে আসুন নন্দাদেবী জাতীয় উদ্যান থেকে। পাইন কিংবা ওক বনের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান, স্থানীয়দের সঙ্গে আড্ডা দিন কিংবা ফুলের উপত্যকায় ভ্রমণ করুন।

আরো পড়ুন: ভিড় বাসের ঠেলাঠেলি ভুলে যান, আসছে নয়া ইলেকট্রিক বাস

শিলং

মেঘালয়ের রাজধানী শিলং বাঙালি তথা অন্যান্য জাতিরও একটি প্রিয় হিল স্টেশন (Famous Hill Stations) । পূর্ব ভারতের স্কটল্যান্ড হিসাবে এই হিল স্টেশনটি পরিচিত সকলের কাছে। প্রকৃতি যেন অনেক যত্ন করে এবং আদর ঢেলে দিয়েছেন এই ছোট্ট শহরকে। একেবারে ছবির মত সাজানো শিলং শহর। শিলং-এর এলিফ্যান্ট ফলস্ আর উমিয়াম হ্রদের নৈঃসর্গিক দৃশ্য দেখলে মুগ্ধ হবেন। এই শহরের সর্বোচ্চ অংশ শিলং পিক বা চূড়া থেকে গোটা শহর দেখা যায়। এখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনযাত্রা আপনাকে মুগ্ধ করবে। নভেম্বরে শিলং-এর তাপমাত্র ১০ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই থাকে। তাই ঘোরার জন্য এর থেকে মনোরম পরিবেশ ও আবহাওয়া আর পাবেন না।

ধরমশালা ও ম্যাকলড গঞ্জ

যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের তালিকায় অবশ্যই নাম থাকবে হিমালয়ের বুকে বসবাসকারী একটি অপূর্ব সুন্দর শহর ধরমশালার। এটি একটি তীর্থক্ষেত্র বলে অনেক মন্দির দেখা যায়। ধরমশালা থেকে ডাল লেক, ভাগসু জলপ্রপাত, ইন্দ্রধর পাস বেশ কাছে। ধরমশালার Tsuglagkhang Complex-এ রয়েছে দলাই লামার প্রশাসনিক দফতর। যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে ধরমশালায় ঘুরতে এসে দলাই লামা দেখা পেতে পারেন। নভেম্বর মাস এখানে ঘোরার জন্য একেবারেই উপযুক্ত সময়। ধরমশালা থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ম্যাকলডগঞ্জ। ধরমশালা ঘুরে চলে যেতে পারেন ম্যাকলডগঞ্জে। নিরিবিলি শান্ত একটি ছোট্ট শহর, বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে সময় ভালই কাটবে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই ছবির মত সুন্দর দেখলে মনে হবে যেন বিদেশে ঘুরতে এসেছেন। স্থানীয় তিব্বতিরা এই শহরকে ডাকে ছোট লাসা নামে। এখানকার সৌন্দর্যকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না এবং এই জায়গায় ঘুরতে এসে অবশ্যই পায়ে হেঁটে ঘুরবেন। তাহলে আসল সৌন্দর্যকে উপভোগ করা যাবে। নভেম্বরে এখানকার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।

Advertisements