Belpahari Coloring Hill: শীতের হাওয়া বইতে না বইতে মনের মধ্যে প্ল্যানিং শুরু হয়ে যায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় শীত মানে কারোর কাছে পাহাড় তো কারো কাছে সমুদ্র কিন্তু গতানুগতিক সেই দীঘা পুড়িয়ে দার্জিলিং থেকে বেরিয়ে এসে এবার শীতে যাওয়া যেতেই পারে বেলপাহাড়ি প্রকৃতির সৌন্দর্যের ঠাসা বেলপাহাড়ি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরে অবস্থিত একটি গ্রাম। এটিকে ঘিরে রয়েছে বাঁশপাহাড়ি, এরগোদা, কানকো এবং আরও কয়েকটি গ্রাম। ঘাগরা জলপ্রপাত, তারাফেনি নদীর বাঁধ, ঘন জঙ্গল এবং রঙিন পর্বতমালা (Belpahari Coloring Hill) এই স্থানের প্রধান আকর্ষণ।
জায়গাটির প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে বেলপাহাড়ি আপনাকে একটি গ্রামীণ শান্ত পরিবেশের অনুভূতি দেয়। এখানে স্থানীয় হস্তশিল্পের সম্ভার দেখতে পারবেন। যে সমস্ত পর্যটকেরা বেলপাহাড়িতে ঘুরতে আসেন তারা এই গ্রামেই হোম স্টে পাবেন। এই জায়গাটিতে আপনার অন্বেষণ এবং উপভোগ করার জন্য অনেক কিছু রয়েছে। কিন্তু সমস্যা আকর্ষণের মধ্যে প্রধান আকর্ষণটি হলো রঙিন পাহাড়। হ্যাঁ! ঠিকই শুনছেন পাহাড় তাও আবার বিভিন্ন রঙে সজ্জিত।
আরো পড়ুন: কম খরচায় ঘুরে আসুন ‘মিনি সুন্দরবন’ থেকে, শীতের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা
রঙিন পাহাড় বলতে মনে পড়ে চীনের রামধনু পর্বতগুলির কথা, যা ঝাংয়ে ডানসিয়া ল্যান্ডফর্ম জিওলজিক্যাল পার্কে অবস্থিত। এই পাহাড়গুলি তাদের অদ্ভুত রঙের জন্য বিখ্যাত। পাহাড়ের নাম রংধনুর নাম থেকে এসেছে। এই রঙিন পর্বত কেবলমাত্র ক্যালিফোর্নিয়ার Riverside County বা চিনের Zhangye National Geopark -এ দেখা যায়। কিন্তু এখন অত দূরে যেতে হবে না এই রঙিন পর্বতের (Belpahari Coloring Hill) দেখা মিলবে বেলপাহাড়ির ওদলচুঁয়ায়।
আরো পড়ুন: পাগলাঝোড়া ঝর্ণা, দার্জিলিং ভ্রমণের পথে প্রকৃতির মোহনীয় উপহার
এবার প্রশ্ন কিভাবে আপনি রঙিন পর্বতের কাছে গিয়ে পৌঁছাবেন? আসলে বেলপাহাড়ি দূরত্ব মেদিনীপুর থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার। এবার আপনি যদি মেদিনীপুর থেকে যান তবে প্রথমে আপনাকে বেলপাহাড়িতে পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে যেতে হবে ওদলচুঁয়ায়, যার দূরত্ব বেলপাহাড়ি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার। এবার জঙ্গলের মধ্যে ১ কিলোমিটার হাটলেই পৌঁছে যেতে পারবেন রঙিন পর্বতের কোলে।
তবে যেমন সহজ শোনায় তেমন কিন্তু সহজ নয় যাত্রাপত্তা। তার কারণ আপনাকে রঙিন পর্বতে (Belpahari Coloring Hill) উঠতে গেলে রীতিমতো ট্রেক করতে হবে। আর সবাই কিন্তু এই ট্রেকের জন্য উপযোগী নয়। যারা শারীরিকভাবে ফিট এবং যাদের হার্ট খুব শক্তিশালী তারাই একমাত্র এই রঙিন পর্বতের ট্রেক করতে উঠতে পারে। তবে সত্যি বলতে এই রঙিন পরবর্তী ট্রেক করার অনুভূতিটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে প্রতিদিন পর্যটকদের কাছে।