Sreebhumi Durga Puja: শ্রীভূমি ক্লাবের পুজো প্রত্যেক বছর কলকাতার সেরা পুজোগুলির মধ্যে একটি হয়। নিজেদের অভিনবত্ব দিয়ে দর্শনার্থীদের মন জয় করে প্রত্যেকবার। শ্রীভূমি ক্লাবের পুজো দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো হয়। এ বছরও তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বরং সুনিপন হস্তে তুলে ধরেছে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত মন্দিরের থিম। সাধারণ মানুষ গোটা এক বছর অপেক্ষা করে থাকে শ্রীভূমি ক্লাবের পুজো দেখার জন্য কারণ প্রতিবছর তারা নতুনত্ব কিছু নিয়ে আসে মানুষের জন্য। মহালয়ার দিন থেকেই শ্রীভূমি ক্লাবের মণ্ডপের দ্বার খুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য।
মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষের এবং এই বিশেষ দিনেই দর্শনার্থীদের জন্য ঘুরে যায় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দরজা। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর (Sreebhumi Durga Puja) উদ্বোধন হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। যদিও, মঙ্গলবারই এই পুজোয় হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবীপক্ষের সূচনা না হওয়ার জন্য তিনি উৎসবের সূচনা করে যান।
পুজোর থিম ভাবনায় এবার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত তিরুপতি বালাজি মন্দির। লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের (Sreebhumi Durga Puja) পুজো এবছর পদার্পণ করেছে ৫২ বছরে। মন্ডপের সামনে দাঁড়ালে এক মিনিটের জন্য মনে হবে যেন পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ ভারতের সেই মন্দিরে। মন্দিরের বাইরের নিখুঁত হাতের কাজ। সোনালী আলোতে যেন অপূর্ব লাগছে তিরুপতি মন্দির।
আরো পড়ুন: আবারো চর্চায় কল্যাণী আইটিআই মোড়ের পুজো, তৈরি হচ্ছে ১৫০ ফুটের মন্দির
শুধুমাত্র প্যান্ডেল নয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মাতৃ মূর্তি দর্শনেও সাধারণ মানুষের বিশেষ আকর্ষণ থাকে। কারণ এরা প্রত্যেক বছর দেবী প্রতিমাকে সোনার অলংকার থেকে হিরে ও দামি অলংকারে সাজিয়ে তোলে। মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল কিন্তু যদিও মন্ডপের ভিতরে প্রবেশ করা নিষেধ ছিল সেইদিন। মণ্ডপের ছবি মুঠো ফোনে বন্দি করার জন্য মানুষের ভিড়। এ বছরের মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন থিম শিল্পী রোমিও হাজরা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব(Sreebhumi Durga Puja) প্রতিবছর পূজোতে নিয়ে আসে নিত্যনতুন চমক। কোন বছর দেখতে পাবেন বাহুবলির সেট, আবার কখনো পদ্মাবত, কিংবা পুরীর মন্দির, ভ্যাটিকান সিটি, এবং ডিজনিল্যান্ডের অপরূপ সৌন্দর্য। কলকাতার শহরের এই ক্লাবটি রাজ্যবাসীকে প্রত্যেক বছর দেখায় তাদের অভিনবত্বের দৃষ্টান্ত। এই মন্ডপের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। এই ক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা সুজিত বসুকে বলতে শোনা যায়, যাতে ব্যস্ততম ভিআইপি রোডে যান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা তৈরি না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে। রাজ্যের নানা প্রান্তের মানুষ প্রতিবছরই এই ক্লাবের পুজো দেখার জন্য আসে। উদ্যোক্তারা আশা করছে মহালয়া থেকে শুরু হয়ে যাবে পুজো মন্ডপে ভিড়।