করোনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবন থেকে শান্তিনিকেতন গৃহ

অমরনাথ দত্ত : বিশ্ববাসীদের কাছে করোনাভাইরাস ত্রাসে পরিণত হয়েছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বের তাবড় তাবড় ৭০ টি দেশকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে। বাদ যায়নি ভারতও। ভারতে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা ৩৪। যদিও স্বদেশে বসবাসকারীদের শরীরে মিলেনি করোনা সংক্রমণ। যে সকল ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে এসেছেন অথবা বিদেশ ফেরত ভারতীয়দের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর যে কারণে একের পর এক সর্তকতা গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। কারণ এই ভাইরাসের থেকে মুক্তির একটিই রাস্তা সর্তকতা।

আর এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আগাম সর্তকতা হিসাবে গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর EC বৈঠকের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে আগামী ৯ তারিখে পৌষমেলার মাঠে হতে চলা বসন্ত উৎসব স্থগিত রাখার কথা। যদিও তারা জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমলে নতুন করে বসন্ত উৎসব করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হবে।

আর শুধু বসন্ত উৎসব স্থগিত নয়, সতর্কতা হিসেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শনিবার আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলো। যে বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ ৮ই মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে বাংলাদেশ ভবন, রবীন্দ্র ভবন প্রদর্শশালা ও শান্তিনিকেতন গৃহ। করোনাভাইরাস থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তবে রবীন্দ্র ভবন ও বাংলাদেশ ভবনের গ্রন্থাগার খোলা রাখা হবে।

শুধু বসন্ত উৎসব অথবা পৌষমেলা নয়, বছরের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ ভবন ও বিশ্বজোড়া খ্যাতি সম্পন্ন শান্তিনিকেতনের অন্যান্য জায়গাগুলিকে দর্শনের জন্য বিপুল পরিমাণে পর্যটকদের সমাগম ঘটে। এসকল পর্যটকরা ভিন জেলা, ভিন রাজ্য ছাড়াও আসেন বিদেশ থেকেও। আর এই সকল মানুষের সমাগমে যাতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কোনরকমে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই আগাম এই সর্তকতা ও বন্দোবস্ত।

বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়া ও বিশ্বভারতীর এমন গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানগুলি বন্ধ রাখার কারণে ইতিমধ্যেই মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। কারণ স্থানীয় এই সকল ব্যবসায়ীরা বিশ্বভারতীর উপরই অনেকটা নির্ভরশীল তাদের মুনাফা লাভের ক্ষেত্রে।