একই দিনে ৩ বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে, উপাচার্যের অবস্থান, বাকি দুই উপাচার্যের বিরুদ্ধে

অমরনাথ দত্ত : রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশ্বভারতীকে দেওয়া উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরেই রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। আর এই রাস্তা পুনরায় ফেরতের দাবিতে শনিবার মৌন অবস্থানে বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

শনিবার সকাল থেকে ছাতিমতলা এই মৌন মিছিলে বসেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ অধ্যাপক অধ্যাপিকারা। বিশ্বভারতীকে উপাসনা গৃহের সামনে থাকা এই রাস্তা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপন দত্ত রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন রাস্তাটির জন্য। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দেওয়া হয়।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিশ্বভারতীর সাথে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক তলানীতে ঠেকে। যার পরেই গত ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী বোলপুর সফরে এসে ওই রাস্তাটি ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপি মার্কা উপাচার্য’ বলেও কড়া আক্রমণ করেন। অন্যদিকে দিন কয়েক ধরেই বিশ্বভারতী চত্বরে তৃণমূলের পতাকা এবং মিছিল, বিজেপির পতাকা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হচ্ছে।

অপরদিকে শনিবার বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপককে সাসপেন্ড করার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর বেশকিছু পড়ুয়া উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। একইভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও। তারাও এদিন ঘণ্টা দেড়েকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গতবছর পৌষ মেলার জন্য ব্যবসায়ীদের থেকে যে সিকিউরিটি মানি নিয়েছিলেন তা এখনো ফেরত দেয় নি।