নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বভারতীর সাথে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরেই তলানিতে ঠেকেছে। সম্পর্কের এই অবনতি ঘটতে থাকে মূলত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে। বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একাধিক পদক্ষেপ নেন যা শাসকদল তৃণমূলকে ব্যথিত করে। যার পরেই দুজনের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পাশাপাশি শাসকদলের পক্ষ থেকে লাগাতার আক্রমণ করা শুরু হয় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। কখনো তাকে ‘বিজেপির মার্কা মারা উপাচার্য’, কখনো ‘পাগল’ ইত্যাদি নানান উপমায় কটাক্ষ করা শুরু হয়। তবে এবার!
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে বরাবরই আক্রমণাত্মক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একাধিকবার তাকে বিভিন্ন জনসভা থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কটাক্ষ এবং হুমকি দিতে লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বভারতীর একাধিক ইস্যু নিয়ে কখনো তাকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন, কখনো আবার অন্য কিছু। তবে এবার দিন কয়েক আগেই সরাসরি হুমকি দিতে লক্ষ্য করা যায় অনুব্রত মন্ডলকে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিরাপত্তাহীনতা উপলব্ধি করে সরাসরি বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি দিলেন।
অনুব্রত মণ্ডল দিন কয়েক আগেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রসঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেন, “২রা মে’র পর এমন শিক্ষা দেব। বোলপুরের বাসিন্দারা এমন শিক্ষা দেবে যে শিক্ষা উপাচার্য সারা জীবন মনে রাখবে।” আর এই হুমকির জেরেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য উপাচার্য চিঠি দিয়েছেন।
[aaroporuntag]
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উপাচার্য অনুব্রত মণ্ডলের সেই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেছেন। আর এই ঘটনার পরে ফের একবার শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডল।