Vocational subjects: উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশুনায় আসছে বড় বদল, এবার আরও বেশি সুবিধা পাবেন পড়ুয়ারা

Prosun Kanti Das

Published on:

Vocational subjects can be studied in higher secondary even if not in secondary: ২০২৩ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করে যে, ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো একটি বৃত্তিমূলক বিষয় (Vocational Subjects) ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে বেছে নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তটি একটি বড় পদক্ষেপ, কারণ এটি পড়ুয়াদের তাদের আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে তাদের শিক্ষার পথ নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে।

বৃত্তিমূলক শিক্ষায় (Vocational Subjects) জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষানীতিতে। অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ পড়ুয়াকে একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হতে হবে, শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।  সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

বর্তমানে, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১২টি বৃত্তিমূলক বিষয় (Vocational subjects) রয়েছে। এই বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, অটোমোবাইল, নিরাপত্তা, ইলেকট্রনিক্স, পর্যটন ও আতিথেয়তা, প্লাম্বিং, নির্মাণ, ইত্যাদি। এই বিষয়গুলির প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলেও, তারা প্রায়ই মাধ্যমিকে সেই বিষয়গুলি না পাওয়ার কারণে উচ্চমাধ্যমিকে সেগুলি বেছে নিতে পারে না। নতুন নিয়মের ফলে, এই সমস্যাটি দূর হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহ অনুসারে তাদের শিক্ষার পথ নির্ধারণ করতে পারবে।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেছেন যে, রাজ্য শিক্ষানীতিকে মান্যতা দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছে। অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই সংসদে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এবার থেকে মাধ্যমিক না থাকলেও অপশনাল ইলেকটিভ হিসাবে যে কেউ বিষয়গুলোকে নিতে পারবে। কারিগরী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদেরই মাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়গুলি থাকত। বৃত্তিমূলক শিক্ষার (Vocational subjects) বিষয়টি আর ছোট্ট পরিসরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরামর্শে সংসদ এই পদক্ষেপ করল।

এই সিদ্ধান্তের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের তাদের আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে তাদের শিক্ষার পথ নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে। দ্বিতীয়ত, এটি শিক্ষার্থীদের তাদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করবে। তৃতীয়ত, এটি বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সহায়তা করবে।