নিজস্ব প্রতিবেদন : এই মুহুর্তে ভারতীয় বাজারে ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে সব থেকে ক্ষতির সম্মুখীন ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থা। কয়েক হাজার কোটি টাকার বকেয়া নিয়ে ভুগছে তারা। হাজার কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে এয়ারটেলেরও। এদিকে অন্যান্য টেলিকম সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক পকেটে পুরেও চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিছুটা হলেও স্বস্তির মুখ দেখে এই সংস্থাগুলি। তবে আবার নভেম্বর মাসে খবর আসে এবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মত সমস্ত সংস্থাও নাকি আবার ১লা ডিসেম্বর থেকে বাড়াতে চলেছে মোবাইলের খরচ। ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে এই পদক্ষেপ।
সর্বভারতীয় নানান সংবাদপত্রে শোনা যায়, টেলিকম সংস্থাগুলিকে দিনের পর লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ১লা ডিসেম্বর থেকে একজোটে সবাই তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কত হবে ট্যারিফের দাম বা কত বাড়ানো হবে তা নিয়ে কোথাও পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হয়নি। টেলিকম সংস্থাগুলিও পরিষ্কার করে কিছু প্রকাশ করেনি। যাতে করে কি হতে চলেছে ১লা ডিসেম্বর থেকে ট্যারিফ তা নিয়ে সকলের মধ্যেই ছিল সন্দেহ।
ভোডাফোন যে ভারতে ব্যবসায় লোকসানের মুখ দেখছে তা নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং ভোডাফোন সিও নিক রিড। টেলিকম সংস্থাটির চিফ এগ্জ়িকিউটিভ নিক রিড জানান, ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে তাঁদের ব্যবসা। তাঁর কথা অনুযায়ী, “নিয়মে অসহযোগিতা, চড়া কর এবং সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ফলে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপছে।”
কিন্তু তারপরেও ১লা ডিসেম্বর থেকে দেখা গেল তারাও অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির মতোই ট্যারিফ রেট না বাড়ানোর পথেই হাঁটল। ভোডাফোনের পদস্থ কর্মীচারীদের সূত্রে জানা যায়, এখনই তারা ট্যারিফের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে না। তবে আগামী ৩রা ডিসেম্বর কল রেট বা ট্যারিফ রেট বাড়াতে পারে ভোডাফোন বলে সূত্রের খবর।