Volume of LIC AUM: সম্পত্তিতে এলআইসির হাঁটুর নিচে পাকিস্তান, ধরাশায়ী হল ইউরোপেরও একটি দেশ

Prosun Kanti Das

Published on:

The volume of LIC AUM is almost double of Pakistan GDP: সাম্প্রতিক প্রকাশ্যে এসেছে এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে মার্চ মাস পর্যন্ত দারুন পারফরম্যান্স করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বীমা সংস্থার জন্য যা এক মাইলফলক। পাশাপাশি এই বৃদ্ধির (Volume of LIC AUM) বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এলআইসির এইউএম? কত পরিমানই বা দাঁড়িয়েছে?

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে এলআইসির এইউএম (Volume of LIC AUM)। যা এই প্রথমবার এই বীমা সংস্থায় দেখা গিয়েছে। বলা যায় রেকর্ড গড়েছে AUM-এর পরিমাণ। হিসাব অনুযায়ী এক বছরে এলআইসির এইউএমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬.৪৮ শতাংশ। যার মোট নিয়ন্ত্রাধীন সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১,২১,৮৮৭ কোটি টাকা। যা পাকিস্তানসহ দুই দেশের জিডিপিকে টপকে গিয়েছে। কোন দুই দেশ?

অর্থনীতিবিদদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থার এই সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। কারণ এলআইসির এই নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদের পরিমাণ ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জিডিপিকে ছাপিয়ে গেছে। যা পাকিস্তানের জিডিপির প্রায় দ্বিগুণ। শুধু পাকিস্তান নয়, পাকিস্তানের পাশাপাশি বৃহৎ দুই দেশ এশিয়া এবং ইউরোপের অর্থনীতিকেও টক্কর দিয়েছে এই সম্পদের পরিমাণ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের জিডিপি প্রায় ৩৩ হাজার কোটি ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৯ লক্ষ কোটি টাকা। অপরদিকে ভারতের এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ইউরোপের ডেনমার্কের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি ডলার। ৫২ হাজার কোটি ডলার অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ সিঙ্গাপুরের। ফলস্বরূপ পাকিস্তানসহ এই দুই দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে এলআইসির এইউএম-এর পরিমাণ। যে তালিকায় নাম রয়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কারও। পরিসংখ্যান হিসেবে, নেপালের জিডিপি রয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার এবং শ্রীলঙ্কার মোট অর্থনীতি ৭,৫০০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন 👉 Adani Port: আদানির কাছে বলে বলে ১০ গোল খেল চিন! খেল দেখালো আদানি পোর্ট

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির পরিমাণ ছিল ৪৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা এক বছরে প্রায় ১৬ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে অন্যান্য দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ২ বা ৩ শতাংশ করে। ফলস্বরূপ ভারতের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। তবে AUM-এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে (Volume of LIC AUM) শেয়ার বাজারের যে অগ্রগতির অবদান রয়েছে তা অনেকেই স্বীকার করছেন। কারণ পূর্ব ছয় মাসে এলআইসির শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২.৪৬ শতাংশ। যার ফলে এক বছরে এলআইসি তার স্টক থেকে রিটার্ন পেয়েছেন প্রায় ৭১.৭৪ শতাংশ। যা এই সংস্থার বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে।

শুধু তাই না, অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে পঞ্চম বৃহত্তম স্থানে। যার পূর্ব স্থান অধিকার করে রয়েছে আমেরিকা, চিন, জাপান, জার্মানি। তবে ভারতের অর্থনীতির পরিমাণ যেভাবে এগোচ্ছে সেই হিসাবে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে যাবে। তবে কতটা উন্নতি করতে পারে সেটাই দেখার।