নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সকল ভোটাধিকার প্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া পরিচয়পত্র হলো ভোটার আইডি কার্ড। এই ভোটার আইডি কার্ডকে অনেকক্ষেত্রে ইলেকটরস ফটো আইডেন্টিটি কার্ড (EPIC) হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যা নাগরিকদের পরিচয়পত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।ভোটার তালিকা প্রস্তুতিতে এবং ভোটের সময় জালিয়াতি রুখতে এই কার্ড সাহায্য করে।
ভোটার আইডি কার্ডে কোন কোন বিষয় ব্যবহার হয়?
প্রথমত, একজন নাগরিকের স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র হিসেবে এই কার্ডটিকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই কার্ডের সাহায্যে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সব নাগরিকরা নির্দিষ্ট সময় ভোট প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারেন।এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দেওয়া এই কার্ডের মধ্যে আরও যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে সেগুলি হলো –
- হলোগ্রাম স্টিকার।
- সিরিয়াল নম্বর।
- কার্ডের গ্রাহকের নাম।
- কার্ডের গ্রাহকের লিঙ্গ।
- কার্ডের গ্রাহকের বয়স।
- কার্ডের গ্রাহকের ছবি।
- কার্ডের গ্রাহকের ঠিকানা।
- কার্ডের গ্রাহকের পিতা মাতার নাম।
- কার্ডের গ্রাহকের স্বাক্ষর।
ভোটার কার্ডের আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন?
প্রথমত, আবেদনকারীকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট কয়েকটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তৃতীয়ত, আর্থিকভাবে দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবহার কি কি?
- গ্রাহকের ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যায়।
- ভোটার আইডি কার্ড থাকা গ্রাহকরা রেজিস্ট্রার ভোটার বলে গণ্য করা হয়।
- ভোটের সময় জাল ভোট রুখতে এই কার্ড ব্যবহার করা হয়।
- কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা ছাড়াই ব্যক্তির সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার হতে পারে।
- কম শিক্ষিত জনসংখ্যার দেশে এই ব্যবস্থা যথোপযুক্ত।
ভোটার আইডি কার্ড কেন প্রয়োজন –
প্রথমত, ব্যক্তির স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র হিসেবে এই কার্ডটির প্রয়োজন আছে। এই কার্ডটি ব্যাঙ্ক, কলেজ, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মত নানান স্থানে গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র রূপে গণ্য করা হয়। শুধু তাই নয় আরও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবেদন করতে এই কার্ড প্রয়োজন হয়।
দ্বিতীয়ত, কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটদানের সময় ভোটার আইডি কার্ড সবথেকে প্রয়োজনীয় নথি হিসেবে গণ্য হয়।
তৃতীয়ত, ভোটার কার্ড অন্য কোনো রাজ্যের ভোটার লিস্টে নাম নথিভুক্ত করতেও সাহায্য করে।