দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন ২০১৯। ভারতবর্ষে একটি নির্বাচন যেন উৎসবের মতো, যে নির্বাচন উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন আপামর জনতার। আবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দেখা যায় সংঘর্ষ, বাদানুবাদ, নানান মতানৈক্য। তবে সে যাই হোক, নির্বাচনের মতো উৎসবকে কেউ কখনো মিস করতে চান না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপযুক্ত পরিচয় পত্রের অভাবে অনেক সাধারণ ভোটদাতাকে দূরে থাকতে হয় বুথে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে। ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভোটার লিস্টে আপনার নাম থাকা। যদি নাম না থাকে তাহলে আপনি কখোনোই ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভোটার লিস্টের নাম রয়েছে অথচ ভোটার কার্ড কাজের সময় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি আপনি আপনার মতামত বা ভোটাধিকার নির্বাচনে পেশ করতে পারবেন না!
এই বড় সমস্যা সমাধানের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই দেখি দীর্ঘদিন ধরে ভোটার কার্ড এখানে ওখানে রেখে দেওয়ার ফলে কাজের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সমস্যা দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়ে এসেছে তাদের নতুন নির্দেশিকা। যে নির্দেশিকা অনুসারে আপনার হাতের কাছে ভোটার কার্ড না থাকলেও আপনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অবশ্য সে জন্য লাগবে আপনার সচিত্র পরিচয় পত্র। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন কোন কোন সচিত্র পরিচয় পত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের পরিবর্তে বিকল্প নথিপত্র পেশ করেও ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের পরিবর্তে চিত্র সম্বলিত পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কর্মক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দেওয়া সচিত্র পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের ছবি সম্বলিত পাসবুক, প্যান কার্ড, এমজিনারেগা’র জব কার্ড, স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত স্মার্ট কার্ড, সাংসদ, বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যদের প্রদেয় সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র এবং আধার কার্ড পেশ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ভোটার লিস্টে আপনার নাম থাকার পরই আপনি আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।