নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ধুমধাম করে উদ্বোধন করা হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। দেখতে দেখতে অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন ৬ মাস পার করলো। গত এই ৬ মাসে বেশ কতকগুলি অধ্যায় লিখেছে রাম মন্দির, তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ঘটনাও ঘটে গিয়েছে যেগুলি বিস্মিত করেছে সকলকে। ঠিক যেমন এখন একটি ঘটনা সামনে এসেছে এবং সেই ঘটনায় বিস্মিত খোদ অযোধ্যার প্রধান পুরোহিত।
অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের সময় নির্মাণকার্য নিয়ে যে সকল তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল তাতে বারবার দাবি করা হচ্ছিল, মন্দিরটির কাঠামো এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ১০০০ বছরেও মন্দিরের ক্ষয় হবেনা। কিন্তু ১০০০ বছর তো দূরের কথা, ৬ মাস পার হতে না হতেই যে ছবি ধরা পড়ল তা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়। কেননা যে মন্দিরের ১০০০ বছরেও কোন আঁচড় না আসার গ্যারান্টি পাওয়া যায় সেই মন্দিরে এমন ঘটনা একেবারেই অবিশ্বাস্য।
আসলে রাম মন্দিরের ছাদ ফুটে জল পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। ২৪ জুন অর্থাৎ সোমবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দাবি করেছেন, বৃষ্টি হলেই ছাদ ফুটে জল পড়ছে। এখনো পর্যন্ত সেই ভাবে বর্ষা আসেনি আর এই অল্প বর্ষাতেই ছাদ ফুটে বৃষ্টির জল পড়ার ঘটনা রীতিমতো বিস্মৃত করেছে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে। তিনি জানিয়েছেন, যেখানে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেই গর্ভগৃহের ছাদ ফুটে জল পড়ছে।
আরও পড়ুন ? Flights to Ayodhya: ডিমান্ড শেষ! এবার বন্ধ হচ্ছে এইসব অযোধ্যাগামী উড়ান
রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, রামলালার গর্ভগৃহ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে জল বের করার কোন ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতে যদি আরও বৃষ্টির সময় বেশি জল পড়ে তাহলে পুজো অর্চনা করা অসুবিধা হয়ে যাবে। কেন ওই ছাদ ফুটে জল পড়ছে তা দেখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। এমনকি পুরোপুরি ভাবে রাম মন্দির নির্মাণ এখনো শেষ না হওয়ার ফলে ওখানে অনেক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। এত ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো নিশ্চয়ই প্রকাশ করেছেন আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।
ছাদ ফুটে জল পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীরাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপারসন নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রথম তলার ছাদ থেকে বৃষ্টি পড়ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ইতিমধ্যেই ছাদ মেরামতি করে জলরোধী করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, যেহেতু গর্ভগৃহ এখন উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে, তাই বৃষ্টির জল পড়তেই পারে। মন্দিরের উপরের তলগুলি তৈরি হয়ে গেলে আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।