নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৫ দিন ধরে কাজ চলছে সিউড়ি ও সাঁইথিয়ার মাঝে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর থাকা নতুন ব্রিজের। ওই ব্রিজটির অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে। মেরামতির কাজ চলাকালীন ব্রিজ দিয়ে যানবাহন থেকে শুরু করে অন্যান্য মানুষদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সহজেই সিউড়ি ও সাঁইথিয়া সহ বহরমপুরের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল নতুন ব্রিজের কাছেই থাকা ভাসা ব্রীজ (Sainthia Vasa Bridge)। কিন্তু তাও জলের তলায় চলে গেল শুক্রবার রাত থেকে।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তার থেকে সবচেয়ে বেশি হয়েছে বীরভূমে। আর এর ফলেই নদী, নালা, মাঠ, ঘাট এখন জলের টইটম্বুর। অন্যান্য নদীর মত ময়ূরাক্ষী নদীতেও জল বাড়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বৃদ্ধি পাওয়ার পর শুক্রবার রাত ১১টার পর সিউড়ি ও সাঁইথিয়ার মাঝে থাকা ভাসা ব্রিজ জলের তলায় চলে যায়। আর এরপর থেকেই সিউড়ি ও সাঁইথিয়ার সঙ্গে সহজ রুটে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ। একদিকে নতুন ব্রিজ কাজ চলার কারণে বন্ধ থাকা আর অন্যদিকে জল বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাসা ব্রীজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Weather Update: ফুঁসছে নিম্নচাপ, জলে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ, ভয়ের কথা শোনালো আবহাওয়া দপ্তর
এখন প্রশ্ন হল সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া অথবা সিউড়ি থেকে বহরমপুর ইত্যাদি জায়গা যাওয়ার জন্য কোন সড়ক পথ ব্যবহার করতে হবে? নতুন ব্রিজ এবং ভাসা ব্রিজ দুটিই বন্ধ থাকার ফলে আর সিউড়ি সাঁইথিয়া রোড হয়ে সাঁইথিয়া যাওয়া যাবেনা। এছাড়াও এই রোড ধরে সাঁইথিয়া হয়ে বহরমপুর সহ ওইদিকের কোন জায়গা যেতে পারবে না কোন যানবাহন। এখন যেতে হলে হয় গুনুটিয়া হয়ে যেতে হবে অথবা ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মহম্মদবাজার হয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।
এক্ষেত্রে সহজে সাঁইথিয়া যাওয়ার জন্য আরেকটি পথ রয়েছে আর সেটি হল রেলপথ। যতদিন না পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে ততদিন সহজে সাঁইথিয়া যাতায়াত করা যেতে পারে ট্রেন ধরে। যদিও সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া ট্রেন সংখ্যা অত্যন্ত কম। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, শনিবার তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ৫০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। এই জল ছাড়ার ফলে আপাতত ভাসা ব্রিজ জলের তলাতেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং যত সময় পার হচ্ছে ততই জলের স্রোত বৃদ্ধি পাচ্ছে।