নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। আর এসবের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিমাসে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম। এমন মূল্যবৃদ্ধির ফলে নাভিশ্বাস হয়ে পড়ছে মধ্যবিত্তদের সংসার চালানো। আর এই নাভিশ্বাস অবস্থাতেই রয়েছে কালোবাজারি। বহু গ্রাহকদের অভিযোগ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে যতটা গ্যাস পাওয়ার অধিকার রয়েছে গ্রাহকদের তার তুলনায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গ্যাস কম মিলছে। আর এই কালোবাজারি রুখতে মোদি সরকারের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সকল পদক্ষেপ অনুসরণ করে কালোবাজারি রুখে দেওয়া সম্ভব।
কালোবাজারির রুখতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে পদক্ষেপটি হল এখন থেকে গ্রাহকদের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি দেওয়ার সময় ডেলিভারি বয়কে উপভোক্তার রেজিস্টার্ড নম্বরে আসা ৪ ডিজিটের ওটিপি নম্বরটি বলতে হবে। আর সেই ওটিপি নম্বর ডেলিভারি বয় গ্যাস সিলিন্ডার বিলের সাথে সংযুক্ত করবেন।
এছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকদের গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস কম আছে বলে কোন রকম সন্দেহ হলে সেই গ্যাস সিলিন্ডার ওজন করে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারেন ডেলিভারি বয়কে। আর সে ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় আপনার সন্দেহের সাথে বাস্তবটা মিলে যাচ্ছে তাহলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করতে পারেন আপনার এজেন্সির কাছে অথবা এলপিজি হেল্পলাইন নম্বরে।
গ্যাস সিলিন্ডারে কালোবাজারি রুখতে জুলাই মাসে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গ্রাহক সুরক্ষা আইন-২০১৯ চালু করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে গ্যাস কম সরবরাহ করা হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে এবং লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে। তবে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই গ্যাস এজেন্সিকে জানানোর কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেয়ে যদি গ্যাস এজেন্সি কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে সরাসরি কনজিউমার ফোরামে যোগাযোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষেত্রে গ্রাহক সুরক্ষা আইন-২০১৯ লাগু হওয়ার পর অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সামনে অজস্র বিকল্প পথ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও আইনে জানানো হয়েছে গ্যাস এজেন্সি গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতারণা করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।