কলকাতা: আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল মঙ্গলবার। অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান হলেও সেই অভিযানের আপাদমস্তক সমর্থন ছিল বিজেপির। আর মঙ্গলবারের ওই নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের উপর অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ (Bangla Bandh) ডেকেছে।
বিজেপির তরফ থেকে বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই সেই বনধকে বানচাল করতে উঠেপড়ে নামে রাজ্য সরকার থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বনধের দিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে বাজারে বাজারে দোকানপাট খুলে রাখার আহ্বান জানানো হয়। আর এসবের মধ্যেই এবার রাজ্য সরকার হেল্পলাইন চালু করলো সাধারণ মানুষদের সহযোগিতায়।
বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়লে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৬টি নম্বর দেওয়া হয়েছে। যে নম্বরগুলিতে ফোন করে সাধারণ মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাবেন বলেই জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে। সুতরাং বুধবার বিজেপির ডাকা বনধের দিন কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোন জায়গায় আটকে যাওয়া অথবা অন্য কোন সমস্যায় পড়লে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া নম্বরগুলিতে ফোন করে সাহায্য পেতে পারেন।
আরও পড়ুন : Nabanna Order: বনধের দিন বুধবার কী কী করতে পারবেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা
সরকারের তরফ থেকে যে সকল কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে সেই সকল কন্ট্রোল রুমের নম্বর হলো ডিরেক্টর ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল রুম- ০৩৩২৪৪২০২৭৮, সিটিসি কন্ট্রোল রুম- ০৩৩২২৪৮১৭৩২, সিএসটিসি কন্ট্রোল রুম- ০৩৩২২৩৬০৪৬২, এনবিএসটিসি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম- ৯০৪৬২২৯০৩৩, এসবিএসটিসি কন্ট্রোল রুম- ৮৪২০১৭৫১৩৩/৯৪৭৪০৫২৩৮৯। এই ছয়টি নম্বর দেওয়া হয়েছে যাতে করে রাস্তায় বের হওয়া মানুষেরা সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করতে পারেন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।
বিজেপির ডাকা বনধের বুধবার সকাল ৭টায় যে আপডেট পাওয়া গিয়েছে তাতে সরকারি বাসের পাশাপাশি পরিবহন দপ্তরের আশ্বাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেসরকারি বাস রাস্তায় বেরিয়েছে। দরকারী প্রয়োজনে বহু মানুষ সকাল থেকেই রাস্তায় বেরিয়েছেন। তবে বেসরকারি বাস মালিকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা কম আর বনধ ডাকার ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় সকাল থেকেই যাত্রী নেই। সরকারি আশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ফাঁকা সিট নিয়েই বাস নিজেদের গন্তব্যে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার ওপর নজর থাকবে BanglaXp-র।