রাজ্যে বদলে গেল শব্দবাজির শব্দের মাত্রা! এখন আরও জোরে ফাটানো যাবে বাজি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমীর দিন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বাজি ফাটানো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কালীপুজো এবং দীপাবলি তো রয়েছেই। যে সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শব্দবাজি থেকে শুরু করে নানান ধরনের বাজি (Firecrackers) ফাটানো বা পোড়ানো হয়। এই বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি শব্দ মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। গত বছরও সেই শব্দ মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার সেই শব্দ মাত্রা বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গত বছর পর্যন্ত শব্দ বাজির ক্ষেত্রে ৯০ ডেসিবেল মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই নিয়ম অনুযায়ীই বাজি বিক্রি হত ও তা পোড়ানো অথবা ফাটানো হতো। গত কয়েকদিন আগেই এই বছর শব্দ বাজির শব্দ মাত্রা কত থাকবে তা নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি নির্দেশিকা বের করেছে। সেই নির্দেশিকা থেকেই জানা যাচ্ছে এবার শব্দ বাজির শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

শব্দবাজির শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বহু মানুষ আশঙ্কা করছেন, এতদিন পর্যন্ত যে সকল চকলেট বোম লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল সেগুলি এবার প্রকাশ্যে বিক্রি করা হবে। এর পাশাপাশি দুর্গাপুজোর বিসর্জন হোক অথবা কালিপুজো, যেভাবে শব্দ বাজি ফাটবে তাতে কান আরও ঝালাপালা হয়ে যাবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে, একমাত্র সবুজ বাজি অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি অথবা ফাটানো যায়।

Advertisements

রাজ্য পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে আতশবাজির শব্দের মাত্রা নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে এই বছর আতশবাজির শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৫ ডেসিবেল। ডেসিবেলের মাত্রা বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ দপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট সবুজ বাজির ক্ষেত্রে ডেসিবলের কোন মাত্রা বেঁধে দেয়নি। যে কারণে এক্ষেত্রে গোটা দেশে যে মাত্রার প্রচলন রয়েছে সেই মাত্রাকেই মেনে নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই পরিবেশ দপ্তর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে। এক্ষেত্রে এমন নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই হতাশ। আবার অনেকেই কটাক্ষ করে জানাচ্ছেন, রাজ্যে বৈধ বাজি কারখানা আর কতগুলি রয়েছে? এই নির্দেশিকার ফলে অবৈধ বাজিগুলি এবার প্রকাশ্যে বিক্রি করার সুযোগ করে দিচ্ছে খোদ রাজ্য সরকার।

Advertisements