কলকাতা : চাষীদের (Farmers) বলা হয়ে থাকে অন্নদাতা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত পরিশ্রম করে মাঠে ফসল ফলান আর সেই ফসল থেকেই দুবেলা দুমুঠো অন্ন আমাদের মুখে ওঠে। চাষীদের এমন কঠোর পরিশ্রমের কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় তাদের জন্য নানান প্রকল্প ও ব্যবস্থা চালু করা হয়ে থাকে। ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই চালু করা হয়েছে বাংলা শস্য বিমা (Bangla Shasya Bima)।
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প এবং এর সুবিধা সম্পর্কে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরা জানেন। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। যে প্রকল্পের আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অন্য কোন কারণে ফসল নষ্ট হলে রাজ্য সরকার ওই সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিমা আওতায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এতদিন যা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেত তার থেকে এবার বেশি সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হলো শস্য বিমায় (Agriculture Insurance)।
মঙ্গলবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নবান্নে সার, বাংলা শস্য বিমা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়ে সচিব ওঙ্কার সিং মিনা সহ অন্যান্যদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই কৃষকদের স্বার্থে শস্য বীমার ক্ষেত্রে সুবিধা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হলো। আগে যা সুবিধা পাওয়া যেত তা তো পাওয়া যাবেই, উপরন্তু কৃষকদের কথা মাথায় রেখে এবার থেকে আরো অনেক বেশি সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Farmer: মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, দারুণ সুযোগ মিলবে কৃষকদের, আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে যেমন শস্য বীমার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শস্যের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, ঠিক সেই রকমই স্থানীয়ভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মাঠে পড়ে থাকা ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মাঠে ধান পেকে যাওয়ার পর সেই ধান বাড়ি আনার জন্য কেটে মাঠে রাখা হয় আর এমন মুহূর্তেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছড়ে পড়ে। এই ধরনের ঘটনাতেও এবার ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
এছাড়াও কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ছোট বড় যন্ত্রপাতি কৃষকদের হাতে আরও বেশি পরিমাণে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন এক লক্ষ যন্ত্রপাতি কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে চলতি অর্থবছরে। এই ধরনের যন্ত্রপাতি যে সকল কৃষকরা কিনবেন তাদের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার।