নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউন জারি হওয়া দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল ৪৫ দিন। আর এই দীর্ঘ লকডাউনের জেরে পশ্চিমবঙ্গের বহু অধিবাসী আটকে পড়েছেন ভিন রাজ্যে। এমনকি রাজ্যের মধ্যে ও বিভিন্ন জেলায় অনেকে আটকে পড়েছেন। এই সকল অধিবাসী ও রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিজের বাড়ি ফেরার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ‘অটোমেটেড ই-পাস’-এর বন্দোবস্ত করলো রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এর আগে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের অধিবাসীদের রাজ্যে ফেরার ক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩২২১৪১৯৯৫/০৩৩২২১৪৩৫২৬ এবং ১০৭০ নম্বর চালু করে। এরপর চালু করা হয় অনলাইনে আবেদন করার জন্য দুটি আলাদা আলাদা সাইট। আসার ক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য লিঙ্ক http://covidwbgov.in/entry/aspx/signin.aspx। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য লিঙ্ক http://covidwbgov.in/exit/aspx/Signin.aspx। এরপর আরও একটি অনলাইন আবেদনের সাইট খোলা হয় যেখানে কোন রাজ্য থেকে একসাথে অনেকজন কোন গাড়িতে আসার ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। সেই লিঙ্ক হলো http://covidwbgov.co.in/GROUPENTRY/aspx/signin.aspx। এছাড়াও রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার পদ্ধতি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে অধিবাসীদের ‘Hi’ লিখে পাঠাতে হবে ৮০১৭৮৪৫৫৫৫ নম্বরে। তারপর সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আর এই সমস্ত পদ্ধতি আপনি পেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://wb.gov.in/ তেও।
তবে এই সকল পদ্ধতিতে একসাথে অজস্র মানুষ আবেদন করার চেষ্টা করায় কোন কিছুই ঠিকঠাক কাজ করছে না বলে বারবার অভিযোগ ওঠে। যে কারণে আরও একটি সহজ পদ্ধতি আনলো রাজ্য সরকার। এবার এসএমএসের মাধ্যমে কোন রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরার অথবা বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে বা রাজ্যের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য আপনাদের ‘Write Messege’ থেকে ইংরেজিতে লিখতে হবে WB
অনলাইন, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ফোন নম্বরের মাধ্যমে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই সকল পদ্ধতি আনলেও বারবার যোগাযোগ করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়ছিলেন ভিন রাজ্যে আটকে থাকা অনেক রাজ্যের বাসিন্দারা। যে কারণে এই এসএমএস প্রক্রিয়া আসায় অনেকেই আশার আলো দেখছেন। পাশাপাশি যাদের স্মার্ট ফোন নেই তারাও খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন বলে মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।