কারচুপির দিন শেষ! স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে এবার বড় প্রযুক্তি আনছে রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যে সকল প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi)। এটি এমন একটি প্রকল্প যার মধ্য দিয়ে রাজ্যের নাগরিকদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হয় স্বাস্থ্য পরিষেবায়। তবে এই প্রকল্পেও নানান ধরনের কারচুপির অভিযোগ ওঠে, সেই সকল অভিযোগ এবার নিমেষে শেষ করতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বেশ কয়েক বছর আগে চালু করলেও একসময় তা সীমিত কিছু নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পকে সার্বজনীন করে দেওয়া হয়। প্রকল্প সার্বজনীন হয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবার মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।

কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পরিষেবা দিতে চাই না, বিভিন্ন সময় অনৈতিকভাবে এই প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ইত্যাদি নানান অভিযোগ ওঠে। এবার এই সকল অভিযোগের অবসান ঘটাতে এবং সমস্ত ধরনের কারচুপি ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই (AI) ব্যবহার করার দিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।

প্রাথমিকভাবে এই ধরনের প্রযুক্তি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি না থাকা অবস্থায় কার্ডের ব্যবহার অথবা প্যাকেজ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে কিনা সেইসব বিষয় খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড নিয়ে কোনরকম কারচুপি করা হচ্ছে কিনা তা যেমন সহজেই সামনে আসবে, ঠিক সেইরকমই আবার রোগীরাও সহজে সুবিধা পাবেন বলে জানা যাচ্ছে।

তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে যখন আলোচনা তখন একটি বিষয় বলে রাখা দরকার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সম্প্রতি এই কার্ডের একটি সুবিধায় বদল আনা হয়েছে। যেটি হলো দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হাড়ের অস্ত্রোপচার করতে পারবেন না। তবে যদি কোন সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকে তাহলে সেই সরকারি হাসপাতালের রেফার লেটার নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যেতে পারে।