WB Transport Department brings new traffic rules: রাজ্য সরকার বরাবর জনগণের সুবিধার্থে এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নানারকম নতুন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। আমাদের দেশে তথা রাজ্যে প্রত্যেকদিন বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যা নিয়ন্ত্রণ করা সত্যি কঠিন, কিন্তু এই সমস্যার তো সমাধান করতেই হবে। তার জন্য এবার রাজ্য সরকার কি নতুন পদক্ষেপ নিল জানেন কি আপনারা (New traffic rules of WB)?
রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজ্য সরকার নিয়ে আসলো গতি নিয়ন্ত্রণ নীতি। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে এই কথাটি ঘোষণা করেছেন। রাজ্যবাসী জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এখানেই যে বিভিন্ন রাজ্যের থেকে এই রাজ্যে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটা কম। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরিমাণকে আরো কমাতে হবে তার জন্যই এই নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (New traffic rules of WB)।
রাজ্য সরকার এই কারণে নিয়ে আসতে চলেছে ‘স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি’ (New traffic rules of WB)। এমন বহু রাস্তা আছে যেখানে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই বেশি; সেক্ষেত্রে কি নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার? দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তাগুলোকে সেফ করিডোর প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে খুব শীঘ্রই। এতে সেই সব রাস্তায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, গাড়ির গতি হল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাই অনিয়ন্ত্রিত গাড়ির উপর আনতে হবে নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি কিছু সাইনেজের মাধ্যমে পথচারী থেকে শুরু করে গাড়ির চালকদের সচেতন করা হবে। এর ফলে গাড়ি চালকেরাও সতর্কভাবে গাড়ি চালাবে এবং পথচারীরাও রাস্তা পারাপার হবে সতর্কভাবে।
আরও পড়ুন ? ধর্মতলা থেকে উঠে যাবে বাসস্ট্যান্ড! কোথায় সরছে, জানালেন পরিবহন মন্ত্রী
বিগত ১০ বছরে প্রায় এক লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা বেড়েছে, সেই কারণে গাড়ির গতির পরিমাণও বেড়েছে এবং দুর্ঘটনাও বেড়েছে পাশাপাশি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে অবশ্যই গতি বেঁধে দেওয়া উচিত এতে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই কম হয়। রাজ্যের পরিবহন সচিব এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, পুলিশ, পরিবহণ দপ্তর বাদেও যারা পথনিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবাইকে যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হবে এই ব্যবস্থাটিকে সফল করার জন্য। নয়া এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল তাতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক শ্রীকান্ত জে, আইজি ট্রাফিক বিপি সিং-সহ সমস্ত কমিশনারেটের পথ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তা। পরিবহণ, স্বাস্থ্য, স্কুলশিক্ষা, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং সমস্ত আরটিও-এআরটিওরা।
আইআইটি খড়্গপুরের সাহায্য নিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে (New traffic rules of WB)। রাজ্যবাসী হিসেবে এটি সত্যি উপরি পাওনা। রাজ্য পরিবহন দপ্তরের এই নয়া ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবে রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, গ্রামোন্নয়ণ ও নগরোন্নয়ণ দপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এমনকি এই নয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করা হয় পরিবহণ দপ্তরের তরফে। আসলে দুর্ঘটনার মূল কারণ হলো গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি এবং ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই কারণেই হয়ে থাকে। নয়া ব্যবস্থায় নজরদারি রাখার জন্য জাতীয় ও রাজ্য সড়ক, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থাভুক্ত সড়ক ও নগরোন্নয়ণ দপ্তরের অধীনস্থ সড়কগুলোর ‘সেফ স্পিড অডিটের’ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এইসব রাস্তার ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।