নিজস্ব প্রতিবেদন : মোটরবাইক এখন সাধারণ মানুষদের কাছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে এখন দু’চাকার মোটরবাইক থাকার পাশাপাশি ওলা, উবের সহ বিভিন্ন সংস্থার বাইক ট্যাক্সিও নিয়ে এসেছে। এর ফলে যাতায়াত যেমন এখন অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক সেই রকমই আবার সস্তাও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এসবের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায় নিজেদের ব্যক্তিগত মোটরবাইক হোক অথবা বাইক ট্যাক্সি, বড় বড় ব্যাগ অর্থাৎ লাগেজ নিয়েই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে দেখা যায়। কিন্তু এসব আর হবে না। কেননা এবার সরকারের তরফ থেকে বাইক ট্যাক্সিতে যাতায়াতকারীদের জন্য লাগেজ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা (Bike Taxi New Rules) জারি করা হলো। যে নিয়ম এবার মেনে চলতে হবে।
এমনিতেই যারা বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাদের জন্য রাজ্য পরিবহন দপ্তর হলুদ নম্বর প্লেট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছে এবং সবার কাছেই হলুদ নম্বর প্লেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। আর এবার বাইক ট্যাক্সিতে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সর্বাধিক ১০ কেজি ওজনের ব্যাগ বা লাগে বহন করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হলো। শুধু ওজন নয় এর পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয়েছে দৈর্ঘ্যও।
রাজ্যের পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহন সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, যাত্রীর লাগেজ বা ব্যাগ ১০ কেজির বেশি ওজন না হওয়ার পাশাপাশি দৈর্ঘ্য মোটর বাইকের কেন্দ্র বরাবর টানা রেখা থেকে ৩৬ সেন্টিমিটারের বেশি যেন না হয়। এর পাশাপাশি মোটরবাইকের দু’পাশে ওই সকল ব্যাগ বা লাগেজের দৈর্ঘ্য যেন ১৫ সেন্টিমিটারের বেশি না হয়।
রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোটরবাইকে প্রচুর পরিমাণে লাগেজ ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এমন ঘটনা হামেশায় ঘুরতে দেখা যায় কলকাতা, শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশনগুলিতে ট্রেন ধরতে যাওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকি থেকে যায়। চালকের বাইক চালানোর সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি লাগেজ পড়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে।
তবে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে নতুন এই সকল নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হলেও তা অমান্য করলে কি শাস্তি রয়েছে তা জানা যায়নি।