নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মতলা (Dharmatala) বা এসস্প্ল্যানেড (Esplaned) একেবারেই কলকাতার মধ্যস্তলে অবস্থিত। মধ্যস্থলে অবস্থিত এই জায়গায় এখন চলছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। অন্যদিকে ধর্মতলা থেকে প্রতিদিনই বহু দূর পাল্লার রুটের বাস ছাড়া হয়। এছাড়াও রয়েছে শহরের অন্যান্য বাস থেকে শুরু করে যানবাহন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে যানজট সমস্যা এবং পরিবেশ দূষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যতম সমস্যা।
পরিবেশের দিকটির উপর নজর রেখে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং পরিবেশ দূষণ থেকে শহরকে রক্ষা করতে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র স্থানান্তরিত করার দাবি তোলেন। পরিবেশ কর্মীদের তরফ থেকে করা এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে।
ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরে যাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে জল্পনায় অনেক বেশি গতি ফিরেছে। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকাল বেলায় হাওড়ার পদ্মপুকুর ক্যারি রোডে আয়োজিত ট্রাফিক পুলিশের একটি সচেতনতা শিবিরে হাজির হয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty)। এই বিষয়ে মন্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, আগে যখন হাওড়া ব্যান্ডেল রুটে প্রথম ট্রেন চালু হয় সেই সময় ধর্মতলাকে কেন্দ্র করে অফিস পাড়া তৈরি হয়েছিল। সেখানে গাড়ি দাঁড়ানো শুরু হয়। এখন ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হলে সেটা কোথায় করা হবে তার বিকল্প জায়গার কথা ভাবা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে যে সকল দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে সেই সকল দূরপাল্লার বাসগুলিকে আপাতত বিভিন্ন ডিপোতে রাখা হচ্ছে। যে গাড়ির যখন টাইম তার ঠিক এক ঘণ্টা আগে ধর্মতলায় বাসগুলি আসবে। এরপর সেখান থেকে প্যাসেঞ্জার তুলে বাসগুলি নিজের নিজের গন্তব্যে ছুটে যাবে। মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী বর্তমানে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে কিছুটা হলেও যানজট সমস্যা মিটে যাবে ধর্মতলায়।
দিন কয়েক আগে শোনা যাচ্ছিল, ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তরিত করা হতে পারে। তবে ব্যবসায় ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বাস মালিকদের একাংশ এই প্রস্তাবে খুশি হননি। এছাড়াও এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস রাখা যাবে না। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে যেগুলিতে ৫০০ টি মত বাস রাখা যাবে। তবে হাইকোর্টের তরফ থেকে অন্যান্য দেশের ১০ তলা বাসস্ট্যান্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি তাও করা হয় তাতেও তা কোথায় হবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সরকার।