টেটের ভুল প্রশ্ন মামলায় বিপুল জরিমানা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : টেটের ভুল প্রশ্ন মামলায় বিপাকে পড়লেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট তাকে বিপুল টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মামলাকারীরা।

Advertisements

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার পর টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টে টেটের ভুল প্রশ্ন নিয়ে একটি মামলা রুজু করেন। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, এই টেট পরীক্ষায় এক একটি নয়, মোট ছয়টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এই মামলায় বিচারপতি ছিলেন সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। সেই কমিটি গঠন হওয়ার পর কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখেন এবং তারা মামলাকারীদের অভিযোগে সায় দেন।

Advertisements

অর্থাৎ বিচারপতির নির্দেশে প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখার জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল সেই কমিটির সদস্যরা জানান, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির এই তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর আদালতের নির্দেশ দেয়, যেসকল পরীক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন তারা প্রত্যেকেই নম্বর পাবেন।

Advertisements

তবে আদালতের এই নির্দেশের পরেও পর্ষদ তা অমান্য করেছে এমনই অভিযোগ ওঠে। আদালতের নির্দেশ মেনে ওই ৬টি প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে নম্বর পাওয়ার জন্য পর্ষদের দ্বারস্থ হয় ১৯ জন পরীক্ষার্থী। তবে অভিযোগ ওই সকল পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করার পরিবর্তে হেনস্থা করা হয়।

যার পর পুনরায় তা আদালতে গড়ায় এবং শুক্রবার বিচারপতি অরিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মামলার শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বিপুল টাকা জরিমানা করলো।

আদালতে তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ওই ১৯ জন পরীক্ষার্থী যারা হেনস্থা হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

আদালতের তরফ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই পরীক্ষার্থীদের এই বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পর্ষদের সভাপতির নিজের রোজগার থেকে। পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই ৬টি প্রশ্নের নম্বর দিতে হবে এবং পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ করতে হবে।

Advertisements