প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার নিয়মে শিথিলতা, চাকরির সুযোগ দিচ্ছে পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই সকল দুর্নীতির মামলায় তদন্ত নেমে সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষার আঙিনায় বসে থাকা উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এমন পরিস্থিতিতেই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ডিসেম্বর মাসে টেট পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা করে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে টেট পরীক্ষার ঘোষণা রীতিমতো খুশির খবর হয়ে দাঁড়ায় রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের কাছে। এরই মধ্যে ফের একটি সুখবর দিল পর্ষদ। নতুন সুখবর হিসেবে পর্ষদের তরফ থেকে নিয়মে বেশ কিছু শিথিলতা আনার কথা বলা হয়েছে। এই শিথিলতা আনার ফলে আরও বেশি পরিমাণে চাকরি প্রার্থীরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

টেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে সেই সকল চাকরি প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যারা ২০১০ সালের ২৩ আগস্টের আগে স্নাতক এবং বিএড করেছেন। পর্ষদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সকল চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার জন্য ৫০ শতাংশ নম্বরের প্রয়োজন নেই। পর্ষদের তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বুধবার।

বুধবার পর্ষদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ২৩ আগস্টের আগে ব্যাচেলর ইন এডুকেশন (B Ed) এবং স্নাতক করেছেন, এরকম জেনারেল প্রার্থীরা স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলে এবং সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীরা ৪০ শতাংশ নম্বর পেলেই ২০২২ সালের টেটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অবশ্যই এর সঙ্গে টেটে অংশগ্রহণের অন্য যোগ্যতাগুলি পূরণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে।

প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ হবে যোগ্যতার টেট পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যারা আবেদন করতে চান তাদের অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ করে দেয় পর্ষদ। চলতি বছর ১১ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ১৫০ নম্বরের জন্য মোট আড়াই ঘন্টার পরীক্ষা হবে।