নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক এই দুই পরীক্ষাই চলতি বছর নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরীক্ষা না হলেও বিকল্প যে মূল্যায়ন পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছিল, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী মাধ্যমিকের ১০০% পড়ুয়াকে পাশ করানো হয়। তবে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করানো হয় ৯৭.৬৯ শতাংশ পড়ুয়াকে। বাকিরা ফেল। আর এর পরেই জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। লাগাতার এই বিক্ষোভের জেরে অবশেষে উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষার্থীদের পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নিলো সংসদ।
দিন কয়েক ধরেই লাগাতার এই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে তলব করেন। সেই বৈঠক শেষে মহুয়া দাস জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। আর এরপরেই সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিকে যেসমস্ত পরীক্ষার্থীরা ফেল করেছিলেন তাদের সকলকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।
তবে সংসদ সভানেত্রী মহুয়া দাসকে এই প্রথম তলব নয়। এর আগেও শনিবার তাকে তলব করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকের পর রাজ্যের শিক্ষা সচিব উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে জেলাশাসকদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সংসদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীদের আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনপত্র এনে স্কুলে জমা করতে হবে। ৩০ শে জুলাই থেকে নতুন মার্কশিট দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
পাশাপাশি ইতিমধ্যেই একটি মুচলেকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকা অথবা স্কুল ইনচার্জকে তাদের জানাতে হচ্ছে, “আমাদের ত্রুটির কারণে কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর ভুল এসেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। দয়াকরে নতুন মার্কশিট দেওয়া হোক।”