নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে তারা নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে পরীক্ষা ব্যবস্থায় সেমিস্টার পদ্ধতি আনার কারণেই বদলে ফেলতে হয়েছে পুরো সিলেবাস। সেমিস্টার পদ্ধতি আসার ফলে অনেকেই মনে করছেন পড়াশোনা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
তবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে সেমিস্টার ব্যবস্থা চালু করা হলেও কিন্তু যা খুশি তাই নয়। বরং এবার একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে ওঠার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি পড়ুয়ারা নিয়ম অনুযায়ী উত্তীর্ণ হতে না পারে তাহলে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠতে পারবে না। মোটের উপর পাশ ফেল নিয়মের (WBCHSE Pass Fail Rules) উপর ভর করেই একাদশ থেকে দ্বাদশে উঠতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলে মোট চারটি সেমিস্টার নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। যে ঘোষণা অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীতে হবে দুটি সেমিস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে হবে বাকি দুটি। প্রথমে শিক্ষার সংসদ জানিয়েছিল, প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারে পাশ ফেলের বিষয় থাকবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়, যাতে করে পাশ ফেল ব্যবস্থা চালু হয়।
সেই আবেদনের ভিত্তিতেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ আগের সিদ্ধান্ত বদল করলো এবং নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের চারটি সেমিস্টারেই ন্যূনতম পাশ নম্বর তুলতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কোন সেমিস্টারে কোন পরীক্ষার্থী পাশ নম্বর তুলতে না পারে তাহলে তাকে কিন্তু পরবর্তী সেমিস্টারে বসতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীর থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠতে গেলে প্রথম দুটি সেমিস্টারে পাশ করে তবেই দ্বাদশ শ্রেণীতে ওঠা যাবে।
উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন নিয়ম অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭০ এবং ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক সেমিস্টারে ৩৫ এবং ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেক সেমিস্টারে পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম যে পাশ নম্বর মার্ক বলে দেওয়া হবে সেই নম্বর পেতে হবে তবেই পরবর্তী সেমিস্টারে বসতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি অনুযায়ী সংসদ পাশ ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।