উচ্চমাধ্যমিকের বাতিল ৩ পরীক্ষার নম্বর কিভাবে মিলবে জানালো সংসদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আবহে দেশের পাশাপাশি রাজ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যায় মার্চ মাস থেকে। যে সময় পশ্চিমবঙ্গে চলছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষা চলাকালীন তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই স্থগিত করতে বাধ্য হয় রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান জুনের শেষে একটি ও জুলাইয়ে বাকি দুটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপর আবার জুন মাস পর্যন্ত লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় জুন মাসের পরীক্ষার দিন বাতিল হয়ে ঠিক হয় ২, ৬ এবং ৮ জুলাই বাকি তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এবার তাও হলো না। রাজ্য সরকারকে বাতিল করতে হলো উচ্চমাধ্যমিকের অবশিষ্ট তিনটি পরীক্ষা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি যে তিনটি পরীক্ষা জুলাই মাসে নেওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। মূলত ICSE ও CBSE-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে গতকাল। আর সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর এই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে দিনক্ষণ বাতিল করা হলো। তবে বাকি পরীক্ষাগুলির জন্য পরীক্ষার্থীদের কিভাবে নম্বর দেওয়া হবে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান উচ্চ শিক্ষা পরিষদ নিয়ম তৈরি করছে। আর সেই মতই শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হল বাকি এই তিন পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীরা কিভাবে নম্বর পাবেন।

পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাতিল পরীক্ষাগুলির মূল্যায়ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে যে বিষয়গুলির লিখিত পরীক্ষাতে যে নম্বর পেয়েছে তার সৰ্ব্বোচ্চটিকে বাতিল পরীক্ষার লিখিত অংশের প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে শতকরা হারে ওই বিষয়ে নম্বর দেওয়া হবে।

পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে, বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল যাতে দ্রুত বের করা সম্ভব হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে সংসদ। চেষ্টা করা হচ্ছে জুলাই মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা।

এছাড়াও সংসদে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি তিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরে কোনো পরীক্ষার্থীর যদি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার্থীদের জন্য কেবলমাত্র বাকি পরীক্ষাগুলির লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। আর সেই লিখিত পরীক্ষাতে যে নম্বর মিলবে সেই নম্বরকে চূড়ান্ত এবং অপরিবর্তনীয় বলে গণ্য করা হবে।