নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর থেকেই বদলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা থেকে সিলেবাস সবকিছু। চলতি বছর যে সকল পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে তারা নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। এই সকল পড়ুয়ারায় সেমিস্টার পরীক্ষা দেবে উচ্চমাধ্যমিক।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এবং সিলেবাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পড়ুয়াদের আরও সঠিক ভাবে তৈরি করার জন্য সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে নতুন তিনটি বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসে। চলতি বছর তিনটি সাবজেক্ট বেড়ে হবে ১৬টি, এর পাশাপাশি আগামী শিক্ষা বর্ষে আরও সাতটি সাবজেক্ট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সমস্ত বিষয় হবে বৃত্তিমূলক।
দিন দিন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেড়ে চলেছে আর সেই প্রতিযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি প্রয়োজন। আর এই জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য যা যা প্রয়োজন সংসদের তরফ থেকে সবকিছুই করা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যারা শিক্ষিত হবে তাদের যাতে উচ্চশিক্ষায় কোন অসুবিধা না হয় তাই স্কুলস্তর থেকেই এই সকল বিষয়ের উপর জোর দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই সংসদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন ? HS New Syllabus Books: কবে মিলবে উচ্চমাধ্যমিকের নতুন সিলেবাসের বই! চিন্তার মাঝেই ভালো খবর
বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিককে মোট ৬২টি বিষয় পড়ানো হয়। এই ৬২টি বিষয়ের মধ্যে থেকে পড়ুয়ারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিষয় বেছে থাকে। আবার ৬২টি বিষয়ের মধ্যে ১৩টি বৃত্তিমূলক। ওই ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয়ের সঙ্গে আরও তিনটি বৃত্তিমূলক বিষয় যোগ হয়ে এবার হচ্ছে ১৬। নতুন যে তিনটি বৃত্তিমূলক বিষয় যোগ করা হচ্ছে সেগুলি হল ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড ইন্সুরেন্স, ফুড প্রসেসিং এবং টেলিকম। এছাড়াও এই বছর বেশ কিছু বিষয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
যে সকল বিষয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলি হল, অ্যাগ্রোনোমির নাম বদলে রাখা হচ্ছে এগ্রিকালচার। হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে হিউমান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। এছাড়াও ফিজিক্যাল এডুকেশন অর্থাৎ শারীর শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্বাস্থ্য এবং তার নাম হচ্ছে হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন। অন্যদিকে পড়ুয়া সংখ্যা কম থাকার কারণে এবার বাদ দিচ্ছে পাঞ্জাবি গুজরাতি ও ফরাসি ভাষা।