WBCHSE: থাকবে না শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভাব, বাদ পড়বেনা বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা! বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংসদ

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর যে সকল পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে চলেছে তাদের কাছে এবারের শিক্ষাবর্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা এই বছর উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশুনা শুরু হতে চলেছে সম্পূর্ণ নতুন সিলেবাস অনুযায়ী। কেননা শিক্ষা দপ্তরের (Education Department West Bengal) তরফ থেকে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে। আর সেই মতো একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)।

Advertisements

উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের এবং তাদের অভিভাবকদের থেকে বিভিন্ন সময় যে সকল অভিযোগ পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি বড় অভিযোগ হলো বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব। রাজ্যে বহু স্কুল রয়েছে যে সকল স্কুলে দেখা যায় একাদশ অথবা দ্বাদশ শ্রেণীতে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের অন্য স্কুলে যেতে হয় অথবা নিজেদের পছন্দের বিষয় ছেড়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।

Advertisements

এই ধরনের ঘটনা এবার আর ঘটবে না বলেই জানা যাচ্ছে সংসদ সূত্রে। কেননা সংসদের তরফ থেকে এবার এই ধরনের ঘটনায় লাগাম টানার জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যে ব্যবস্থায় বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব থাকবে না। সংসদের তরফ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে কোন নতুন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করতে চলেছে তা নয়। তবে অভিনব এক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে তারা বলেই জানা যাচ্ছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? School Reopen New Update: ২ জুনও নয়, ৩ জুনও নয়! গরমের ছুটি কাটিয়ে এবার স্কুল খোলা নিয়ে এলো নতুন আপডেট

ধরা যাক, নতুন এই ব্যবস্থাই যদি কোন স্কুলে গণিত বিষয় পড়ানোর জন্য কোন শিক্ষক না থাকেন তাহলে নিকটবর্তী কোন স্কুল থেকে শিক্ষকদের আসতে হবে অঙ্ক শেখানোর জন্য। আবার এমনও হতে পারে দুই স্কুলের পড়ুয়াদের একসঙ্গে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে। মূলত সংসদের তরফ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভাব পূরণের জন্য ক্লাস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।

সংসদের তরফ থেকে এই ক্লাসটার পদ্ধতিতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাব পূরণের পাশাপাশি কলেজের অধ্যাপকদেরও পড়ানোর জন্য পাঠানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে যে সকল সরকারি অথবা সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে সেগুলিতে বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। আর এই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাব মেটাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ বলেই জানা যাচ্ছে।

Advertisements