WBSEDCL: থেমে যাবে লোডশেডিং! পুজোর পর থেকেই তাক লাগানো কাজ চালাবে WBSEDCL

WBSEDCL started work after Puja to solve the problem of load shedding: লোডশেডিং কমাতে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টণ কোম্পানির (WBSEDCL) নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে লোডশেডিং সমস্যা দূর হবে। এ বছর তাপমাত্রার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। গরমের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল রাজ্যবাসী। এদিকে প্রচন্ড গরমে একটি ফ্যান বা এসি যে চালাবে তার উপায় ছিল কম। কেননা প্রায়শই লোডশেডিং-এর কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। তাই এবার এই লোডশেডিং সমস্যা দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুর বণ্টণ কোম্পানি। জানা যাচ্ছে, পুজোর পরই শুরু হবে কাজ। লোডশেডিং সমস্যা দূর করতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেনে নিন।

জানা যাচ্ছে, মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে বসবে ৩৩/১১ কিলো ভোল্টের ১০টি নতুন সাব স্টেশন। একই সাথে প্রায় ৭০০০ কিলোমিটার এবি কেবল বা এরিয়াল ব্রাঞ্চ কেবল বসাতে চলছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি (WBSEDCL)। মালদহের বিভিন্ন অঞ্চলে এগুলো বসানো হবে। আসলে এই গরমের লোডশেডিং এত সমস্যায় ভুগেছে মালদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। আর তারপরই লোডশেডিং সমস্যা কমাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দুর্গা পূজার পরেই শুরু হবে কাজ।

ডব্লিউবিএসইডিসিএল(WBSEDCL)-এর মালদা বিভাগের রিজিওনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় সম্প্রতি এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘আরও সুষ্ঠভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে এই জেলায় ১০টি সাব স্টেশন তৈরি করা হবে। এখন সমীক্ষার কাজ চলছে। পুজোর পর থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু হবে।” মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে সমীক্ষার কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে কালিয়াচক ১, হরিশ্চন্দ্রপুর ১, মানিকচক, পুরাতন মালদাস, ইংরেজবাজার, গাজোল, রতুয়া সহ আরো বেশ কিছু ব্লকে বসানো হবে এই সাব স্টেশন। সমীক্ষার কাজ শেষ হলেই কাজ শুরু হবে এবং আগামী দেড় বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ নিয়ে কাজ দ্রুত গতিতে করা হবে।

একই সাথে ডব্লিউবিএসইডিসিএল(WBSEDCL)-এর মালদা বিভাগের রিজিওনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় জানিয়েছেন, ‘মালদা জেলায় ১২০০ কিলোমিটার জুড়ে এবি কেবল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭৫০ কিলোমিটার কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে।’

এছাড়া পুজোর পর নতুন করে ৭০০০ কিলোমিটার এবি কেবল বসানো হবে। রাবারের আস্তরণে মোড়া এবি কেবল বসানোর ফলে আগামী দিনে ঝড়, বৃষ্টি কিংবা দুর্যোগে তার ছিড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এতে করে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি অনেকটা কমবে। পাশাপাশি লোডশেডিং এর মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাবে মানুষ।