অমরনাথ দত্ত : শুক্রবার সকাল থেকে মল্লারপুর থানা এবং মল্লারপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মল্লারপুর থানার লকআপে এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করেন এবং রাস্তা অবরোধ করেন পুলিশ কাস্টডিতে শুভ মেহেনা নামে ওই কিশোরকে মেরে দেওয়া হয়েছে বলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পথ অবরোধ চলার পর অবশেষে পুলিশ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন। উঠে যায় পথ অবরোধ।
পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের এই আন্দোলনে যুক্ত হন স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা। তারা শনিবার মল্লারপুর এলাকায় ১২ ঘন্টার বনধ ডাকেন। বিজেপি নেতা কর্মীরা মৃত ওই কিশোর এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেন। যদিও বেলা গড়াতেই এই ঘটনা ১৮০° মোড় নেয়।
মৃত কিশোরের বাবা গণেশ মেহেনা জানান, “আমরা তৃণমূলে আছি তৃণমূলেই থাকবো। আমার ছেলে নেশা ভাং করতো। দু-একবার চুরিও করেছে। তারপর হয়তো পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।”
যদিও মৃত ওই কিশোরীর মা বাবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির অভিযোগ, “পুলিশ এবং তৃণমূল মৃত ওই কিশোরের মা বাবাকে হাইজ্যাক করে শিখিয়ে পড়িয়ে এখন বলানো করাচ্ছে, তারা বিজেপি করে না, তৃণমূল করে বলে। আসলে বীরভূমের প্রতিটি ঘটনাতেই এমনটা লক্ষ্য করা গেছে। উদাহরণস্বরূপ নানুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুরের স্বরূপ গড়াই ইত্যাদি।”
তৃণমূলের তরফ থেকে এই সকল সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, “বিজেপি যে সকল দাবি করছে সবই ফালতু। বিজেপি দাবি-দাওয়া সবই অবাস্তব। সুতরাং এই অবাস্তব দাবি-দাওয়ার কোন উত্তর হয় না। পরিবারের লোক সবসময় তৃণমূলের সাথে রয়েছেন।”