নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। এরপর আবার ভরা কোটাল। ভরা কোটালের জেরে ফের একবার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এর পাশাপাশি নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করছে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়ায় গভীর নিম্নচাপ। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নবান্নের তরফ থেকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ নিজের শক্তি বৃদ্ধি করার কারণে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি দেখা দেবে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। এমনিতেই দিন কয়েক ধরেই হঠাৎ হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির কারণে একাধিক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোমবার একদিনে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে এই নিম্নচাপের হাত ধরেই। বঙ্গোপসাগরের নতুন করে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তার জেরে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। এই অবস্থাই বিপর্যয় মোকাবিলায় দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নতুন করে এই যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গের দিকেই এগিয়ে আসবে। এর ফলে যেমন রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, ঠিক তেমনই এই নিম্নচাপের হাত ধরেই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করবে রাজ্যে। এই সময় থেকেই রাজ্যে প্রবেশ করবে বর্ষা।