কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে রাজ্য, বছরের শুরুতে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেঘ বৃষ্টির মধ্যে দুদিন ঠান্ডা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া গেলেও ফের শৈত্য প্রবাহের সম্মুখীন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলা। আবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে নামার হাতছানি দিচ্ছে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই দফায় হাড় কাঁপানো শীতের আয়ু বেশ ছোট। শনিবার দিনভর কনকনে শীতের পর রবিবারও কনকনে শীত থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে সোমবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

শনিবার ও রবিবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে দিনের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কম থাকার ইঙ্গিত মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। সবথেকে বেশি কম তাপমাত্রা থাকবে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তালিকায় রয়েছে বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মত জেলাগুলি। পাশাপাশি বছরের প্রথম তিন দিন রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।

কলকাতা ছাড়া শনিবার রাত থেকে শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। ৩০ শে ডিসেম্বর থেকে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব ফেলবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে থমকে যাবে উত্তুরে হাওয়ায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই। আর সে সময় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রীতে। বীরভূমের মত জেলাগুলিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার চলাকালীন বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকবে পূবালী হাওয়া।দুই বিপরীত ধর্মী বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই হালকা বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে, বছরের দ্বিতীয় দিনে ভারী বৃষ্টির দেখাও মিলতে পারে। আর এই বৃষ্টির কারণে বছরের প্রথম সপ্তাহ স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডার মত আবহাওয়ায় পরিণত হতে পারে।