নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের (winter) আমেজ শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪° কম। তবে এরই মাঝে বর্ষার মতো একটি ঘূর্ণাবর্তের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal)। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে হিমেল হাওয়ায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় হতে পারে আগামী ১০ নভেম্বরের পর থেকে। তবে এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। ঘূর্ণাবর্তের অভিমুখ তামিলনাড়ুর দিকে থাকার কারণে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই অনুমান করছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে সরতে সরতে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের দিকে এগিয়ে যাবে। পরে আবার শক্তি সঞ্চয় করে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী নিম্নচাপ (Depression) রূপে অবস্থান করতে পারে।
এছাড়াও দুটি অক্ষরেখা রয়েছে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে। পাশাপাশি আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে মহারাষ্ট্র উপকূলে। আর এই সকল ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ ইত্যাদির কারণে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের তেমন আশঙ্কা না থাকলেও হিমেল বাতাস প্রবেশ করতে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমেল বাতাস প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হলেই শীতের এই ধারাবাহিকতায় ঘাম ঝরতে পারে বঙ্গবাসীর।
হাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হলেও আগামী ১০ নভেম্বরের পর থেকেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। অন্যদিকে হাওয়াবিদদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পারদ পতন মানেই শীতের আবির্ভাব হয়েছে এমনটা নয়। তাদের কথা অনুযায়ী কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের এখন শীতের প্রবেশ করতে দেরী রয়েছে।