দ্রুত শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, এই ৬ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই পথের কাঁটা হয়ে হাজির এর একটি নিম্নচাপ। শুধু নিম্নচাপ বললে ভুল হবে, কারণ এই নিম্নচাপের হাত ধরেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ইতিমধ্যেই এই গভীর নিম্নচাপ দ্রুত শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শীতের মরশুমে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের অন্যতম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন কয়েক আগেই নিম্নচাপের কারণে ক্ষতি হয়েছে পাকা ধান। ফের এই নিম্নচাপ ও বৃষ্টির যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাতে ধান থেকে সবজি সবই ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি শুরু প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আসবে বঙ্গোপসাগরে। তারপর সেখানে তা আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস এমনটাই। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর যে নামকরণ অর্থাৎ জাওয়াদ রাখা হয়েছে সৌদি আরবের তরফ থেকে।

আন্দামান সাগর থেকে আশা গভীর নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তা আগামী ৪ ডিসেম্বর পৌঁছাবে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে। এর পাশাপাশি উড়িষ্যা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। পাশাপাশি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছেই।

পশ্চিমবঙ্গের যে ৬ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেই ৬ জেলা হল দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও ঝাড়গ্রাম। শুক্রবার বৃষ্টি শুরু হলেও শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের দিকে তাকিয়ে মৎস্যজীবীদের ৩ তারিখ থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।