নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নিম্নচাপের (Depression) আবির্ভাব লক্ষ্য করা গেলেও সেই নিম্নচাপের প্রভাব বাংলাতে (West Bengal) পড়বে না। এমনটাই জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনরকম সম্ভাবনা নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গে রোদ ঝলমল আকাশ থাকলেও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই সকল পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি হাওয়া অফিস নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করল শীতের (Winter) আগমণ নিয়ে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে (Weather Report) জানানো হয়েছে, শুষ্ক আবহাওয়ায় থাকার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ অনেক নেমেছে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামী ৩ এবং ৪ তারিখ থেকে অর্থাৎ কালীপুজো ও দিওয়ালিতেই তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে নেমে যাবে। বিশেষ করে রাতের দিকে তাপমাত্রার এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে ইতিমধ্যেই ভোরের দিকে তাপমাত্রা থাকতে শুরু করেছে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টি অথবা মেঘলা আকাশের কোনরকম বিঘ্নতা না থাকার কারণে এই সকল জেলার তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিক। অর্থাৎ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী কালীপুজোর দিন থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ অনুভূত হবে।
শনিবার শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে পশ্চিমের জেলা বিশেষ করে বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনের এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২° কম। তবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এদিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আগামী দিন চারেক তাপমাত্রার তেমন কোনো হেরফের না হলেও ২ নভেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এরপর কালীপুজোর দিন থেকেই শুরু হবে শীতের আমেজ।