জোড়া ঘূর্ণাবর্ত মাথাচাড়া দিয়েছে, দুর্গোৎসবে বড় দুঃশ্চিন্তা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদন : একটি ঘূর্ণাবর্ততেই সামাল সামাল, তারপর আবার জোড়া ঘূর্ণাবর্ত ঝাড়খণ্ডের আকাশে। আর এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ঝাড়খণ্ড থেকে উড়িষ্যা উপকূলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলে, তাছাড়াও ঝাড়খন্ডে বেশি বৃষ্টি হলে সেই জল নদী বেয়ে প্রবেশ করে বীরভূম অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে। এমনিতেই পুজোর আগে ঝাড়খন্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বীরভূমে বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল। যদিও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস মূলত উড়িষ্যার উত্তর উপকূলে রয়েছে।

এছাড়াও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ অষ্টমীর দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস মতোই ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আগামীকাল অর্থাৎ নবমীর দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। এমনকি দশমীতে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এই বৃষ্টিপাতের কারন হিসেবে জানা গেছে, রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বজায় রয়েছে। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান ঘূর্ণাবর্ত। যার জেড়ে এই বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকেছে এরাজ্যে।

আর এই বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প সৃষ্টি করতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘের। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে দোসর তাপমাত্রা, ৩০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। যে কারণে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও প্রবল।