২৬ তারিখ থেকে এই সকল জেলায় জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, সতর্ক করলো নবান্ন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপের জেরে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের। নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়া, এলাকা প্লাবিত হওয়া এমন একাধিক ঘটনায় জর্জরিত বাসিন্দারা। এমনকি গত রবিবার থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে হাঁটুজলে ডুবেছে কলকাতা।

Advertisements

Advertisements

লাগাতার এই বৃষ্টি, জল জমা এই সকল ঘটনার কারণে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের মাত্র কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির সংখ্যা ২০-র কাছাকাছি। আবার এই জমা জল এবং দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তড়িতাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এই সকল পরিস্থিতির মধ্যেই পুনরায় আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় দুর্যোগ নেমে আসার সর্তকতা দেওয়া হল।

Advertisements

বঙ্গোপসাগরে পুনরায় নিম্নচাপ তৈরীর আশঙ্কা দেখা দেওয়ার কারণে এই দুর্যোগের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এই নিম্নচাপের কারণে রবিবার থেকেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ব্যাপক ভাবে পড়তে পারে।

তবে শুধু একটি নয়, আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত ঠিক তার পরে পরেই আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্তটি তার প্রভাব ফেলতে পারে ২৮ তারিখ থেকে। আর এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের অভিমুখ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা। এই দুটি ঘূর্ণাবর্তের আগমন ঘটছে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে। যেগুলি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে প্রথম থেকেই যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে। দ্বিতীয় যে ঘূর্ণাবর্ত আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়তে পারে বাংলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে অন্যান্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে।

অন্যদিকে সম্প্রতি যে নিম্নচাপ তার প্রভাব দেখিয়েছে তার রেশ এখনো কাটেনি। নিম্নচাপ সরে গেলেও নিম্নচাপের লেজের ধাক্কায় বৃষ্টির রেশ রয়েই গেছে। এই লাগাতার বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই চাষের জমিতে জল জমেছে বহু জেলায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে কাঁচা রাস্তা, মাটির বাঁধেরও। এসবের মাঝেই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস কপালে ভাঁজ ফেলছে বাংলার গ্রামের মানুষদের।

Advertisements