ধেয়ে আসছে মোকা, শনিবার এই ৬ জেলা ভিজবে স্বস্তির বৃষ্টিতে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকা (Mocha) স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ অথবা ওড়িশা না হওয়ার কারণে দুটি রাজ্যই এই যাত্রায় রক্ষা পেল। বঙ্গোপসাগর থেকে মোকা এখন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের মাঝে। প্রথম থেকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষমেশ সেই উৎকণ্ঠা থেকে রক্ষা পায় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মোকা অবস্থান করছে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমার সিটি থেকে কিছুটা দূরে। সাগর থেকে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসার আগে মোকা ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আগামী ১৪ তারিখ অর্থাৎ রবিবার এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলের মধ্য দিয়ে যাবে। এর প্রভাবে শনিবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে।

তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপর কোনোভাবেই পড়বে না বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। কেবলমাত্র সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে এবং ১৫ ও ১৬ তারিখ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি শনিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। শনিবার বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে কলকাতা এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। এছাড়াও বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও দুই দিনাজপুরে।

তবে ঘূর্ণিঝড় মোকা হোক অথবা অন্য কিছু, আপাতত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার তেমন কোন পার্থক্য দেখা যাবে না। শুধু তাই নয়, আগামী ১৫ এবং ১৬ মে নতুন করে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। যে সকল জেলার জন্য তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেগুলি হল বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর।