নিজস্ব প্রতিবেদন : সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। যে নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে স্থলভাগের উপর আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয় হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। মনে করা হচ্ছিল এই নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। আর বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও এর প্রভাব পড়বে তা অনুমান করা হচ্ছিল।
তবে এই নিম্নচাপ দিক পরিবর্তন করে অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোতে থাকে। আর বর্তমানে এই নিম্নচাপ স্থলভাগের উপর প্রবেশ করে শক্তি হারিয়েছে। যদিও তেলেঙ্গানার উপর নিম্নচাপ বিরাজ থাকায় তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, বিশেষ করে হায়দ্রাবাদে গতকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১২ ঘন্টায় এই নিম্নচাপ স্থান পরিবর্তন করবে এবং আরও শক্তি বাড়াবে। যে কারণে এই নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্র, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা উপকূল ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ? পুজোর আগে বা সময় পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া সম্পর্কে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত এরাজ্যে ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। যদিও দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জেলায় স্থানীয়ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বৃষ্টিও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টিতে পুজো পন্ড হওয়ার যেমন সম্ভাবনা এখনই নেই ঠিক তেমনি তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। চরম আদ্রতা কারণে দিনের বেলায় গুমোট গরমে হাঁসফাঁস করবেন সাধারণ মানুষ। তবে ভোরের দিকে আবহাওয়া কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে। মৌসম ভবনের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে মধ্যভারত এবং বাংলা থেকে এখনো বর্ষা বিদায় নিতে দেরি আছে।