নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উধাও হয়েছে শীত। এক ধাক্কায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে অনেকটা। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। এমত অবস্থায় বুধবারও কি বৃষ্টির দাপট লক্ষ্য করা যাবে? কি জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
মঙ্গলবার বৃষ্টির পর বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলার আকাশ পরিষ্কার লক্ষ্য করা যায়। তবে তাপমাত্রার পারদ বাড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। যদিও বৃষ্টির কারণে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে তাতে মঙ্গলবারের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। বুধবার এই এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল ১৪.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আবহাওয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে বুধবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি দেখে স্পষ্ট, উধাও হয়ে গিয়েছে শীতের আমেজ।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে। বুধবারও এমন বৃষ্টি হবে কিনা তা সম্পর্কে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই বৃষ্টি হতে পারে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও। বৃষ্টির এই দাপট থাকবে আগামী দু থেকে তিন দিন। বুধবার বেশকিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বেশকিছু জেলার কিছু অংশে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।”
Due to anticipated approaching of Western Disturbance over Eastern India and moisture incursion from Bay of Bengal during 11-14 January 2022, Enhance rainfall activity is likely over the districts of West Bengal during 11-14 January, 2022. Details of bulletin is attached pic.twitter.com/yH6FarzS9r
— IMD Kolkata (@ImdKolkata) January 10, 2022
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফের তাপমাত্রার পারদের পতন লক্ষ্য করা যাবে। তবে আগের মত আর জাঁকিয়ে শীত পড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।